ইসলামী খেলাফত বিলুপ্তির শত বছর !

0 ৭০

আজ ৩ মার্চ। আজ থেকে ঠিক ১০০ বছর আগে ১৯২৪ সালের এইদিনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব থেকে ইসলামখেলাফত বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ১৯২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে খেলাফত বিলুপ্ত করা হলেও এর প্রেক্ষাপট তৈরী হচ্ছিলো অনেক আগে থেকেই। বহিঃশক্তির ষড়যন্ত্র এবং আভ্যন্তরীণ দুর্বলতা তৈরী হচ্ছিল প্রায় অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে।

এরই ফলশ্রুতিতে মুসলমানদের হারানো সম্পদ খিলাফত পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্বব্যাপী ইসলামী আন্দোলনের কাজ শুরু হয়। মুসলিম সমাজের আভ্যন্তরীণ দুর্বলতা দূর করার জন্য শুরু হয় তাজদীদি আন্দোলন। সে সময়কার মুসলিম সমাজের জড়তা, স্থবিরতা, ইজতিহাদের রুদ্ধ দ্বারকে গতিশীল এবং উন্মুক্ত করার ব্রত নিয়ে এই ইসলামী আন্দোলনগুলোর সূচনা হয়।

চলার পথে উপনিবেশিক শক্তির নিপীড়নকে মোকাবেলা করে, উপনিবেশিক শক্তির উত্তরাধিকার সেক্যুলার স্ট্যাবলিশমেন্ট, সমাজতন্ত্রের নাস্তিক্যবাদী স্রোত এবং পুঁজিবাদের ভোগবাদী জীবনব্যবস্থার বিপরীতে ইসলামকে একটি সামগ্রিক, সার্বজনীন এবং যুগোপযোগী জীবনাদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার মহান ব্রত নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে এই আন্দোলনসমূহের সূচনা।

মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপিত এই আন্দোলন ত্যাগ, তিতিক্ষা, রক্ত, ঘাম এবং শ্রমের মাধ্যমে আজ এক বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়েছে। তাই আজ আবারও সেই উপনিবেশিক শক্তিসমূহের উত্তরাধিকার, বস্তুবাদী, ভোগবাদী সভ্যতার প্রতিনিধিরা নাস্তিক্যবাদী এবং প্রবৃত্তিপূজারী শক্তির সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই মহীরুহের মূলোৎপাটন করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। কিন্তু, আমরা মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ভবিষ্যত বাণীর উপর ঈমান রেখে দৃপ্ত কন্ঠে বলতে চাই, সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আবার কায়েম হবে প্রতিশ্রুত সেই খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুবুয়্যত।

‘হযরত নু’মান বিন বশীর হুযায়ফা (রা.) হতে বর্ণিত, ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে নবুয়্যত ততদিন পর্যন্ত বর্তমান থাকবে যতদিন তা আল্লাহ্ তা’আলা চাইবেন। এরপর আল্লাহ্ তা উঠিয়ে নিবেন। এরপর নবুয়্যতের পদ্ধতিতে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা ততদিন বিদ্যমান থাকবে যতদিন আল্লাহ্ চাইবেন। এরপর আল্লাহ্ তা উঠিয়ে নিবেন। এরপর উৎপীড়নের রাজতান্ত্রিক শাসন কায়েম হবে। এটি ততদিন থাকবে যতদিন আল্লাহ্ চাইবেন। এরপর আল্লাহ্ তা উঠিয়ে নিবেন। এরপর জরবদস্তিমূলক যুলুমের সাম্রাজ্য কায়েম হবে এবং এটি ততদিন থাকবে যতদিন আল্লাহ্ চাইবেন। এরপর আল্লাহ্ তা উঠিয়ে নিবেন। এরপর নবুয়্যতের পদ্ধতিতে পুনরায় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি (সা.) নীরব হয়ে যান।’
(আহমদ-বাইহাকী, মিশকাত, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা : ৪৬১)

Visits: 0

মন্তব্য
Loading...
//atservineor.com/4/4139233