উসমানীয় সাম্রাজের শেষ সূর্যাস্ত
মৃত্যুর আগে আব্দুল মজিদের শেষ ইচ্ছা ছিল, তাঁর লাশ যেন তুরস্কের তারিবা কবরস্থানে দাফন করা হয়। কারণ, এই কবরস্থানে চিরশয্যায় সমাহিত হয়েছেন তাঁর পিতা সুলতান আব্দুল আজিজ, পিতামহ সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ এবং চাচাতো ভাই সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ। তুরস্ক থেকে নির্বাসিত হলেও অন্তত মৃত্যুর পর যেন পরিবারের পাশে নিজের জন্মভূমিতে তাঁর শেষ স্থন হয়, এটা ছিল তাঁর জীবনের শেষ চাওয়া।
নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ডানপন্থী দলের নেতা আদনান মান্দারিস। খবর পেয়ে দুররে শাহওয়ার আবারও ছোটেন তুরস্কের উদ্দেশে। নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে সবিনয় অনুরোধ করেন, তাঁর মরহুম বাবার লাশ যেন তুরস্কের মাটিতে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়। উসমানি পরিবারের এই রাজকন্যার আকুতি শোনেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পরিষদের সম্মতি পেলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন, আশ্বাস দেন তাঁকে।
ভাবতেই অবাক লাগে, যে উসমানীয় খিলাফতের শাসকরা ৬২৪ বছর তিন মহাদেশ দাঁপিয়ে বেড়িয়েছিলেন তাদের বংশধররাই কিনা মৃত্যুর পর লাশ দাফতের জন্য তুরস্কের ভূখন্ডে সামান্য একটু জায়গা পাননি। জীবনের শেষ মুহুর্তগুলো কিনা অতিবাহিত করে গেছেন অন্যান্য মুসলিম শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে….
তথ্যসূত্রঃ সুলতান কাহিনি • ১৮১-৮৩
Visits: 0