ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে সুলতানদের অবদান

0 ৩৯

১৪৮৭ সালে ইলিয়াস শাহী বংশকে উৎখাত করার মাধ্যমে আরম্ভ হওয়া হাবশি শাসনে বাংলা ছিলো রাজনৈতিকভাবে চরম অস্থিতিশীল। এক হাবশি অভিজাত কে হত্যা করে আরেক হাবশি অভিজাত সিংহাসন দখল করতেন।

ভারতীয় উপমহাদেশে মুঘল সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তনকারী সম্রাট জহিরুদ্দিন মুহম্মদ বাবর বাংলা সালতানাতে হাবশি শাসন সম্পর্কে তাঁর আত্মজীবনী ‘তুজুক-ই-বাবরী’তে লিখেছেন–  “উত্তরাধিকারসূত্রে সিংহাসন লাভ বাংলায় বিরল।

বাঙালিরা বলে আমরা রাজাসনের প্রতি অনুগত। যে সিংহাসনে বসে আমরা তারই আনুগত্য করি। এক রাজাকে হত্যা করে আরেকজন রাজা হলেও বাঙালিরা তাঁকে একইভাবে শ্রদ্ধা করে যেমনটা তারা পূর্ববর্তী রাজাকে করতো।”

( তথ্যসূত্র: বাংলায় আফগান শাসন (১৫৩৮-১৫৭৬) – প্রফেসর ড.আবদুস সাঈদ, দ্বিতীয় অধ্যায়- ‘আফগান বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলা’, পৃষ্ঠা ৩৩)

এই অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে ক্রমশ জনমনে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। বাংলার অভিজাতবর্গ, পাইকসেনা ও সাধারণ মানুষ ভেতরে ভেতরে ফুঁসে উঠতে থাকেন এবং সুলতান শামসউদ্দিন মোজাফফর শাহর শাসনামলে হাবশি শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়।

বিদ্রোহী সৈন্যবাহিনী ও জনগণ গৌড়ের শাহী প্রাসাদ ঘেরাও করে। আর নেপথ্য থেকে বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন হাবশি সুলতান মোজাফফর শাহর উজিরে আজম সৈয়দ হোসেন খান।

একপর্যায়ে বিদ্রোহ সফল হয় এবং তাদের হাতে বাংলার শেষ আবিসিনিয়ান শাসক মোজাফফর শাহ নিহত হন। বিদ্রোহীরা তাদের নেতা সৈয়দ হোসেন খান কে সিংহাসনে বসায়। তিনি সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ আলা-উদ-দ্বীন হোসেন শাহ্ নাম ধারণ করে গৌড়ের রাজাসন অলংকৃত করেন এবং হোসেন শাহী বংশের শাসনের সূচনা করেন।

আলাউদ্দিন হোসেন শাহর (১৪৯৩–১৫১৯) শাসনামলে শ্রী চৈতন্য ‘গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মমত’ প্রচার করেছিলেন। এইসময় ব্রাহ্মণগণ একজোট হয়ে সুলতানের নিকট চৈতন্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানালে সুলতান প্রথমে স্বয়ং চৈতন্যের কার্যক্রম যাচাই করে দেখেন। অতঃপর তাঁকে বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেন এবং ঘোষণা করেন– কেউ তাঁকে কীর্তন ও ধর্ম-কর্মে বাধা দিলে বাধাদানকারীকে শাস্তি পেতে হবে।
চৈতন্যকে ধর্মপ্রচারের স্বাধীনতা প্রদান বাংলায় সুলতানি আমলে বিরাজমান ধর্মীয় সম্প্রীতি নির্দেশ করে। বিজয়গুপ্ত এই সময় হোসেন শাহর পৃষ্ঠপোষকতায় রচনা করেন ‘মনসামঙ্গল’ কাব্য। তিনি মনসামঙ্গল কাব্যের রাজ-স্তুতিতে লিখেছেন—
“সুলতান হোসেন শাহ নৃপতি তিলক
প্রভাতে অর্জুন রাজা সংগ্রামের রবি
নিজ বাহুবলে রাজা শাসিল পৃথিবী
রাজার পালনে প্রজা সুখে ভুজে নিত!
মুল্লুক ফাতেয়াবাদ বাঙ্গরোড়া তাকসিম
পশ্চিমে ঘাগর নদী পূর্বে খণ্ডেশ্বর
মাঝখানে ফুল্লশ্রী গ্রাম পণ্ডিত নগর!
স্থানগুণে যেই জন্মে সেই গুণময়
হেন ফুল্লশ্রী গ্রাম বসতি বিজয়!”

অর্থাৎ কবি বিজয়গুপ্ত বলছেন, সুলতান হোসেন শাহ নৃপতিদের মধ্যে তিলক-তুল্য। যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি অর্জুনের ন্যায় বীর, তিনি যেন অন্ধকারের অবসান ঘটিয়ে প্রভাতে আলোর পথ দেখানো রবি (সূর্য) নিজ বাহুবলে তিনি বিশাল ভূখণ্ড শাসন করেছেন। তাঁর শাসনকালে প্রজারা পরম সুখে ছিলেন।

বিজয়গুপ্ত জন্মগ্রহণ করেছিলেন বরিশালের ফুল্লশ্রী গ্রামে, যা সেই সময় ছিলো এক উন্নত সমৃদ্ধ শিক্ষা-নগরী। উন্নত স্থানে যে জন্মগ্রহণ করে, সে-ও পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে গুণী ও সমৃদ্ধ মানুষে পরিণত হয়!  সুলতান হোসেন শাহর সময় চট্টগ্রামের গভর্নর ছিলেন লস্কর পরাগল খাঁর। পরাগল খাঁর সভাকবি ছিলেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর। তাঁর থেকে সনাতন ধর্মীয় মহাকাব্য মহাভারতের কাহিনী শুনে পরাগল খাঁ অভিভূত হন। পরাগল খাঁ ছিলেন একজন বীর সেনাপতি এবং ত্রিপুরা অভিযানে অসাধারণ বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। তিনি মহাভারতের সামরিক কলা-কৌশলসমূহকে যুদ্ধে ব্যবহার উপযোগী ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিবেচনা করেন। তিনি কবীন্দ্র পরমেশ্বরকে আদেশ করেন মহাভারত বাংলায় অনুবাদ করার।
তাঁরই আদেশে কবীন্দ্র পরমেশ্বর মহাভারতের বঙ্গানুবাদ করেন এবং নাম দেন ‘পাণ্ডববিজয়’। এটি ‘পরাগলী মহাভারত’ হিসেবে পরিচিত।
এটিই মহাভারত মহাকাব্যের প্রথম বঙ্গানুবাদ।

( তথ্যসূত্র: প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান–রায় বাহাদুর ড.দীনেশ্চন্দ্র সেন, পৃষ্ঠা. ৪৩)

লস্কর পরাগল খাঁর পুত্র ছুটি খানের আদেশে কবি শ্রীকর নন্দী মহাভারত অবলম্বনে বাংলা ভাষায় ‘জৈমুনী ভারত’ নামক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এটি ‘ছুটি খানের মহাভারত’ হিসেবে পরিচিত।

(তথ্যসূত্র: ড.দীনেশ্চন্দ্র সেন – ঐ)

সুলতান হোসেন শাহর পুত্র সুলতান নাসিরউদ্দিন নুসরত শাহ্ (১৫১৯–১৫৩২)ও ছিলেন পিতার মতোই সুযোগ্য শাসক এবং বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক। নুসরত শাহরও পৃষ্ঠপোষকতা ছিলো মহাভারত সংকলনে। কবীন্দ্র পরমেশ্বর তাঁর সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন–

“শ্রীযুক্ত নায়ক সে-যে নসরত খান
রচাইল পঞ্চালী যে গুণের নিধান”

(তথ্যসূত্র: রায়বাহাদুর ড.দীনেশ্চন্দ্র সেনের রচিত ‘প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান’, পৃ.৪৩)

সুলতান নুসরত শাহ (১৫১৯-৩২) ও তাঁর পুত্র ফিরোজ শাহর (১৫৩২–১৫৩৪) এর শাসনামলের একজন বিদ্বান দরবেশ ছিলেন আফজল আলী। তিনি মুসলিমদের উপদেশ দানের উদ্দেশ্যে বাংলায় রচনা করেন ‘নসিহত নামা’ নামক একটি গ্রন্থ।
আফজল আলী নুসরত শাহর রাজত্বকালে যুবরাজ ফিরোজের (ফিরোজ শাহ) পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন।

(তথ্যসূত্র: ড.এম এ রহিম রচিত ‘বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস’ পৃ.১৩০-৩১, পৃ.১৭৫)

বাংলা সালতানাত ও দিল্লী সালতানাতের মধ্যকার বাফার জোন হিসেবে কাজ করতো জৌনপুরের শার্কী রাজ্য। শার্কীদের মূল শক্তি ছিলো তাদের দুর্ধর্ষ হেভি ক্যাভালরি। শার্কীরা সময়ে সময়ে বাংলা এবং দিল্লী সালতানাতে আক্রমণ ও লুটতরাজ চালাতো।

প্রবল প্রতাপশালী সুলতান রুকনউদ্দিন বারবাক শাহ অতুলনীয় পরাক্রমের সাথে শার্কীদের বিধ্বস্ত করেছিলেন। তিনি শার্কীদের থেকে ত্রিহুত রাজ্য জয় করেন। ত্রিহুত সেইসময় ছিলো শার্কী সুলতানদের করদ রাজ্য। সুলতান বারবাক শাহ ত্রিহুত দখল করে কেদার রায় কে ত্রিহুতের নায়েব নিযুক্ত করেছিলেন। ত্রিহুতের জমিদার রাজা ভৈরব সিংহের সাথে কেদার রায়ের সম্পর্ক ভালো ছিলো না। কেদার রায়কে উচ্ছেদ করে ভৈরবসিংহ বিদ্রোহের চেষ্টা করেছিলেন। সুলতান এতে অত্যন্ত ক্রুব্ধ হয়ে তাকে শাস্তি দিতে উদ্যত হলে ভৈরব সিংহ ক্ষমা প্রার্থনা করে বশ্যতা স্বীকার করেন।

(তথ্যসূত্র: বাংলার ইতিহাসের দুশো বছর: স্বাধীন সুলতানদের আমল (১৩৩৮-১৫৩৮) – শ্রী সুখময় মুখোপাধ্যায়, পৃ.২০১-২০৪)

বারবাক শাহর বিখ্যাত সেনাপতি শাইখ ইসমাইল গাজী (রহ.) জীবনকাহিনী নিয়ে কবি শেখ ফয়জুল্লাহ বাংলায় রচনা করেন ‘গাজী বিজয়’ কাব্য। কারবালার করুণ ঘটনা ও হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এর পুত্র জয়নাল আবেদীনের দুঃখের কাহিনী নিয়ে ফয়জুল্লাহ রচনা করেন মর্সিয়া কাব্য ‘জয়নালের চৌতিশা’। তিনি ‘সত্যপীর পাঁচালী’, ‘গোরক্ষবিজয়’ ও ‘রাগমালা’ কাব্যও রচনা করেছিলেন।

শেখ জৈনুদ্দিন মহানবি (সা.)-এর যুদ্ধ বিজয় নিয়ে রচনা করেন ‘রসুল বিজয়’ কাব্য। গ্রন্থ সূত্রে জানা যায়, শেখ জৈনুদ্দিন ছিলেন সুলতান ইউসুফ শাহর সভাকবি।

(তথ্যসূত্র: ড.এম এ রহিম রচিত ‘বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস, পৃ.১৩১)

তিনি গোরক্ষ-বিজয় কাব্যের রচনাও করেছিলেন এই সময়।

( শ্রী সুখময় মুখোপাধ্যায়ের পূর্বোক্ত গ্রন্থ, পৃ.২০২)

‘ভাগবত পুরাণে’র অনুবাদক মালাধর বসু ছিলেন বারবাক শাহর দরবারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি ১৪৭৩ সালে অর্থাৎ বারবাক শাহর রাজত্বকালের শেষদিকে ভাগবত পুরাণ বাংলায় অনুবাদ করা শুরু করেন। ১৪৮০ সালে বারবাক শাহর পুত্র ইউসুফ শাহর সময়কালে অনুবাদের কাজ সমাপ্ত হয়। এটিই ভাগবতের প্রথম সংস্কৃত থেকে অন্য কোনো ভাষায় রূপান্তর।

মালাধর বসু তাঁর কাব্যের নাম রাখেন ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’। এর অপর নাম ‘গোবিন্দমঙ্গল’। এই সাহিত্যকর্ম রচনার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলার সুলতান ইউসুফ শাহ তাঁকে ‘গুণরাজ খাঁ’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। মালাধর বসু লিখেছেন–

“অজ্ঞান অধম মুই নাহি কোনো জ্ঞান
গৌড়েশ্বর দিল নাম গুণরাজ খান।”

( ড.দীনেশ চন্দ্র সেনের পূর্বোক্ত গ্রন্থ, পৃ.৪৩)

সুলতান বারবাক শাহর রাজত্বকালে ইব্রাহীম কাওয়াম ফারুকী ‘ফারাহাঙ্গ-ই-ইব্রাহিমী’ নামক একটি ফার্সি অভিধান সংকলন করেছিলেন। প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার মখদুম শরফউদ্দিন এহিয়া মানেরীর নামানুসারে গ্রন্থের নামকরণ করা হয় ‘শরফনামা’। গ্রন্থকার মখদুম শরফউদ্দিন মানেরী (রহ.) কে গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছিলেন। গ্রন্থানুসারে, ইব্রাহীম ফারুকী এই ফার্সি অভিধানটি রচনা করেন আবুল মুজাফফর বারবাক শাহর রাজত্বকালে।

(ড.এম এ রহিমের ‘বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস’, পৃ ১৩২)

এই ফার্সি গ্রন্থটি সমগ্র উপমহাদেশের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য জ্ঞানচর্চায় এক অনন্য উদাহরণ। ‘মালেকুশ শোয়ারা’ বা রাজকবি হিসেবে জৈনুদ্দিনের উল্লেখ আছে এই গ্রন্থে । অর্থাৎ শেখ জৈনুদ্দিন বারবাক শাহর আমলেও রাজকবি ছিলেন।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ শ্রী সুখময় মুখোপাধ্যায় রচিত ”বাংলার ইতিহাসের দুশো বছর: স্বাধীন সুলতানদের আমল (১৩৩৮-১৫৩৮)” গ্রন্থের ২০৫ নং পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে:—
রুকনউদ্দিন বারবাক শাহ্ প্রখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত মহাচার্য বৃহস্পতি মিশ্রকে হাতির পিঠে চড়িয়ে উজ্জ্বল মণিময় হার সহ বহু উপঢৌকন প্রদানপূর্বক স্বর্ণকলসের জলে অভিষেক করিয়ে সম্মানিত করেছিলেন এবং তাঁকে ‘রায়মুকুট’ উপাধি প্রদান করেছিলেন। তাঁর রচিত অমরকোষ-এর টীকা ‘পদচন্দ্রিকা’ বিখ্যাত। তিনি ‘গীতগোবিন্দ’, ‘কুমারসম্ভব’, ‘রঘুবংশ’, ‘মেঘদূত’ ও ‘শিশুপাল বধ’– এর টীকা লিখেছেন। তাঁর রচিত ‘স্মৃতিরত্নহার’ বাংলায় ব্রাহ্মণ্য ধর্মের ইতিহাস নিয়ে অমূল্য গ্রন্থ।
রাজা গণেশের পুত্র সুলতান জালালউদ্দিন মুহাম্মাদ শাহও ছিলেন মহাচার্য বৃহস্পতি মিশ্রের পৃষ্ঠপোষক। ‘স্মৃতিরত্নহার’-এর ভূমিকায় আচার্য বৃহস্পতিমিশ্র লিখেছেন– সুলতান জালালউদ্দিন মাহমুদ শাহর সেনাধিপতি রায় রাজ্যধর এর নিকট থেকে তিনি ‘কবি চক্রবর্তী’ উপাধি লাভ করেছিলেন। 

কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, শুধু বাংলা সাহিত্যই নয়, সংস্কৃত ও ফার্সি ভাষা–সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধনেও বাংলার মহান সুলতানগণ অবদান রেখেছেন।
ধ্রুবানন্দ মিশ্র রচিত সংস্কৃত গ্রন্থ ‘মহাবংশাবলী’ থেকে জানা যায়, সুলতান ইলিয়াস শাহ সামরিক সাহায্যের জন্য বহু সামন্ত, জমিদার ও কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছিলেন। তিনি তাঁর জনৈক ব্রাহ্মণ রাজকর্মচারী দুর্যোধন কে ‘বঙ্গ-ভূষণ’ (বাংলার অলংকার) এবং চক্রপানি নামক অন্য একজন কুলীন ব্রাহ্মণ কর্মচারীকে ‘রাজ-জয়ী’ উপাধি প্রদান করেছিলেন।

(তথ্যসূত্র: বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস– ড. এম এ রহিম, পৃ.২৪৫ এবং ধ্রুবানন্দ – মহাবংশাবলী, এন.এন. বসু কর্তৃক উদ্ধৃত – বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস, ব্রাহ্মণ কাণ্ড, তৃতীয় অধ্যায় পৃ.৬১)

তথ্যসূত্র:
১. বাংলায় আফগান শাসন (১৫৩৮–১৫৭৬)– অধ্যাপক ড.আবদুস সাঈদ
২. বাংলার ইতিহাসের দুশো বছর:স্বাধীন সুলতানদের আমল (১৩৩৮–১৫৩৮) – শ্রী সুখময় মুখোপাধ্যায়
৩. প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান – রায় বাহাদুর ড.দীনেশচন্দ্র সেন
৪. বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস – ড.এম এ রহিম
৫. বাংলাপিডিয়া।

লেখক: রাজিত তাহমীদ জিত

Visits: 0

মন্তব্য
Loading...
//grapseex.com/4/4139233