এমন যাতে না হয়…

0 ৬১

সমাজে কিছু পরিবার আছে, যেখানে সন্তানরা মা’কে দেখতে পারে না বা সহ্য করতে পারে না। এই সহ্য করতে না পারা বা দেখতে না পারার পিছনে অনেক কারণ থাকে, যেমন- বেঈনসাফি, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া, সবসময় নিচু করা… ইত্যাদি।


অনেক সময় পরিবারে একটি সন্তান থাকলে অতিরিক্ত আদরে যেমন সন্তানটি বিগড়ে যায় তেমনি, কয়েক সন্তান থাকলে সব সন্তানদের প্রতি ইনসাফ বা ন্যায় বিচার না করলে- সেভাবেও সন্তানরা বিগড়ে যায়।


পরিষ্কারভাবে যদি বর্ণনা করি তাহলে বলবো- কিছু মা আছেন- যারা ছেলেদেরকে বাড়ির দায়িত্ব থেকে দূরে রেখে শুধু মেয়েদের ওপর ঘর-বাড়ির সব দায়িত্ব চাপিয়ে দেন, শুধু নিজের কাজ নয়, ভাইদের কাজ কর্মও বোনদের ওপর দিয়ে রাখেন। ফলে এই ভাই-বোনদের মধ্যে মিল তো হয়ই না বরং বোনেরা মা’কেই অপছন্দ করতে থাকে। আবার এমনও হয়- সন্তানদের মধ্যে দুই নজর করা। কাউকে বসে খাওয়ানো, হোক সে বড় ছেলে, আবার কাউকে সব সময় কাজের আদেশ দেয়া, হোক সেটা ছোট ছেলে। সন্তানদের মধ্যে একজন বিগড়ে যাচ্ছে দেখেও না দেখার ভানও করে থাকেন অনেক মা-বাবা। ফলে অন্যান্য সন্তানদের চোখে সম্মান হারিয়ে ফেলেন অভিভাবকরাই। আবার কিছু মা-বাবা আছেন- মেধা কম বলে উক্ত সন্তানকে গুরুত্ব না দিয়ে, তাকে এগিয়ে যাওয়ার পথ না দেখিয়ে সবসময় নিচু করে রাখা। শুধু তাই নয়- (শুনতে খারাপ লাগলেও) অনেক মা’রা (শিক্ষিত সমাজ হোক কিংবা অশিক্ষিত) নিজ স্বার্থে ছেলে-মেয়েদের অনৈতিক কাজেও বাঁধা দেন না। মেয়ে বড় লোকের এক ছেলের সাথে ডেটিং এ যায়- এটা জেনেও চুপ। “থাক না! এখন তো এসব করারই বয়স! আর বিয়ে হলেও তো এক ধনী জামাই পাবো!” আর অশিক্ষিত মায়ের ঘরে হয় অন্য চিত্র।

সুতরাং, শুধু সন্তান জন্ম দেয়ার মাধ্যমে মা’ হওয়া নয়। মায়ের দায়িত্বগুলোও খেয়াল রাখতে হবে। একটা সন্তানকে চুমু দিলে অন্য জনদের কথাও চিন্তা করতে হবে। নিজ থেকে ঠিক থাকলে ইনশাআল্লাহ সন্তানরাও আদর করবে, আগলে রাখবে। অবশ্য মানুষ হিসাবে হয়তো ভুল-ত্রুটি হবে। তবে যার মধ্যে (সে সন্তান হোক কি মা-বাবা) পরকালের ভয় আছে, আল্লাহ’র আদেশকে মান্য করে তারা কখনোই এমন কাজ করবেন না যাতে নিজ জীবন, পরিবার ও সমাজ সবই ধ্বংস হয়।

Visits: 10

মন্তব্য
Loading...
//stungoateeve.net/4/4139233