ছিমছড়ি
সব প্রিয়দের একসাথে নিয়ে
দেখতে গিয়েছিলাম
হিমছড়ি পাহাড় আর ঝর্ণা,
অনেক ইচ্ছের মাঝে
এটা ছিল একটা তামান্না।
পাহাড়টাতে উঠতে গিয়ে
আর কত সিঁড়ি ?
উঠছে আর বলছে সব
প্রাণ যাচ্ছে মরি মরি ।
একধাপ উঠে প্রিয়তমা
বলল,কত মহান তুমি আল্লাহ্ !
চারপাশের দৃশ্য দেখে
বললাম, আমি সুবাহানাল্লাহ্ ।
উঠতে হবে আরো উঁচু
ছুটছে সব পিছু পিছু,
চূড়াতে সব উঠে
ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে গেলো,
ঠান্ডা শীতল হাওয়া এসে
সব ক্লান্তি দূর করে দিলো ।
প্রিয়তমাকে সাথে নিয়ে
এত উঁচুতে উঠেছি,
আল্লাহ্ তায়ালার দয়ার
কথা ততই আমি ভাবছি ।
একপাশে বিশাল সাগর
অন্য পাশে পাহাড়
কি অপরূপ সৃষ্টি যে তার ?
বলল,আমায় এসে
অনেক হলো ঘোরাঘুরি
এবার চলো ফিরি ,
নামতে হবে এবার
সময় কম আবার
নামছি ধীরে ধীরে ….
হঠাৎ দেখি এক রমনী
ঠায় দাঁড়িয়ে আছে ,
রেগে গিয়ে পতিকে বকছে আর
বলছে আজ নাকি নামবে না নিচে ।
বকা শুনে কারোর বুঝি
মাথা গরম হলো,
এর নমুনা পরে দেখা গেলো ।
বললাম, আমি হেসে
ঠান্ডা ডাব খাওয়ালে কমে যাবে
রাগ যত সব মিছে,
বোরকা ধরে নামতে গিয়ে
পরলাম আমি পিছে ।
দু’ পাহাড়ের মাঝখানে
দেখলাম শীতল পানির ঝর্ণা
আরে এতো পাহাড়ের কান্না ।
পাহাড় আর ঝর্ণা দেখা শেষ
আবার দেখবে কবে জানি ?
ওমা,একি !
নিচে নেমে একাই খেয়ে
নিলো ডাবের পানি ।
ফিরে তো আসলাম
আর মনে মনে
আবার যাওয়ার
ইচ্ছে পোষণ করলাম।
Visits: 0