নিজেকে চিন্তার সহযোগী বানাই
প্রতিটি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হল চিন্তাকে সবসময় সাথে নিয়ে ঘুরতে থাকা এবং সেটাকে বোঝা হিসেবে বইতে থাকা। অথচ আমরা চাইলেই এর উল্টো কাজটা করতে পারি!
আমরা চারদিকে লক্ষ্য করলে দু’ধরনের মানুষ দেখতে পাব । এক. যারা সফল, মূলত সফলতাই তাদেরকে মধ্যাকষর্ণের মত টানতে থাকে, স্থিরচিত্ত যারা একটুতেই চঞ্চল হয়না। দুই. যারা অচল ভঙ্গিতে চলাফেরা করতে থাকে আর ভাবে এভাবেই চলুক কাজগুলোও এভাবেই হয়ে যাবে , অস্থির , কেন হচ্ছেনা তাড়াতাড়ি, একটুতেই যাদের ধৈর্য্যের দেয়াল ভেঙ্গে পরে। কিছু মানুষ আছে আয়েশ করে সকাল নটায় ঘুম থেকে উঠে ,আরাম করে খবরের কাগজের বড় বড় অক্ষরগুলো ও ছোট ছোট অক্ষরগুলো খুটে খুটে দেখে , নাস্তা করে হেলেদুলে দশটায় অফিস আসে । তারপর অফিসে এসেই হাসি, ঠাট্টার সঙ্গে কোমল পানীয় এগুলোতেই সময় পার হয়ে যায়। সময় শেষ হলেও তাদের কাজের চিন্তা ভেতর থেকে তাদের কুড়ে খেতে থাকে।
আর কিছু মানুষ যারা কাজের জন্য তাদের চিন্তাকে নিজের সহযোগী করে তোলে। তারা অফিস এসে কাজগুলোকে নিয়ে আপডেট চিন্তা করতে থাকে । তাদের বিনোদন থাকে
কাজের মধ্যে ।
আমরা আমাদের চারপাশটা দেখলেই বুঝতে পারব কতটা অসহায় ভঙ্গিতে জীবনযুদ্ধে সবাই জানবাজি রেখেছি। যেকোন একটা কাজের ক্ষেত্রে চিন্তা করতে করতে আমরা অসুস্থ হয়ে যাই । অথচ আমরা লজিক দিয়ে ভাবতে চাইনা। একটা কাজ শুরু করলে সেখানে প্রথমে ব্যর্থতাই প্রথম বাস্তবতা হবে , এটাই বাস্তবতার সৌন্দর্য । কারন যারা যুদ্ধে জয়ী হবে তারা অবশ্যই অন্যদের থেকে আলাদা হবে। যেকোন কাজ শুরু করলেই সেখানে চিন্তা করতে করতেই কাজ নিয়ে ভাবার সময় পাইনা । ব্যর্থতা আসবে ,
হোচট খেতে হবে,কিন্তু চিন্তাকে শক্তিশালী সহযোগী করতে হবে। একটু ব্যর্থতাতেই কাজের পথকে চুকিয়ে দিতে চাই । চিন্তা হবে এবং এই চিন্তাটাকেই কাজে লাগাতে হবে,
চিন্তাকে কাজের জন্য পেরেশান করতে হবে। তাহলে দেখা যাবে চিন্তা থেকেই কাজের পথ মসৃণ হতে শুরু করবে।
Visits: 3