-ভাই,আপনি কার পক্ষে লিখেন?
-কার পক্ষে লিখি মানে?
-এই যে ভারতের বিপক্ষে লিখলেন?
-ও….মিতু ভাই (মুশফিকুর রহিম) ভারতের প্রস্তাব ফিরায়ে দিছে দেখে তোমার কইলজার মধ্যে লাগছে?
-না ভাই,কথা এইটা না…..
-দেখো,ভারত আমার দেশ না,পাকিস্তানও আমার দেশ না।কেনো আমি এদের পক্ষে লিখবো?এরা কি টাকা দেয় এদের পক্ষে লিখার জন্য?না আমাকে কোন ধরনের সহযোগিতা করে?
-না ভাই,মানে….(আমতা আমতা করে)
-বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।এটি আমার প্রাণ।অগনিত শহীদের রক্ত ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই দেশে স্বাধীনতার সৃর্যপতাকা এনেছি।তাদের রক্তের সাথে গাদ্দারী করার এক্তিয়ার আমার নেই।ভারত হোক,পাকিস্তান হোক বা আমেরিকা হোক,যেই আমার দেশের ব্যাপারে নাক গলানোর চেষ্টা করবে,তার বিরুদ্ধেই রুখে দাড়াবো।এটির কলম যুদ্ধের মাধ্যমে হতে পারে,আবার সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমেও হতে পারে। আমাকে কেউ এই রাস্তা থেকে ফিরাতে পারবেনা।
R u understand?
-জ্বি ভাই।
-ভারত-পাকিস্তান প্রীতি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ প্রীতি বাড়াও।
BYE……..
গত বছর মুশফিকুর রহিম ভাই যখন আইপিএল এর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন,তখন অনেকেই উনার বিপক্ষে ছিলেন।উনার মতামতের পক্ষে লিখায় কিছু লোকজনের মনোভাব ভিন্ন হয়েছিলো।অনেকে ভাবতো,আমি মনে হয় পাকিস্তানের পক্ষে।কিন্তু আমি ভারতের বিপক্ষে যে মনোভাব পোষণ করি,পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই মনোভাব পোষণ করি।আবার পাকিস্তানের সমর্থকরা আমাকে ভারতের সমর্থক মনে করে।
বাস্তবতা হচ্ছে,বাংলাদেশের পক্ষে লিখতে গেলেও বিরোধী হয়ে যেতে হয়। যে লেখাটা ভারতের বিপক্ষে যায়,তারা পাকি রাজাকার উপাধি দিয়ে দেয়।আবার দেশের পক্ষে লিখতে গেলে যেটা পাকিস্তানের বিপক্ষে যায়,তখন ভারতের দালাল উপাধি পেতে হয়।
আমি দেশের পক্ষে ছিলাম,আছি এবং থাকবো।আমি এই দেশকেই ভালোবাসি।ভারত বা পাকিস্তানকে নয়।
Hits: 1