ব্যক্তিত্ব এবং আদর্শ:

0 ৬১

আমি মনে করি, একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ- সৎ ও দৃঢ় থাকলে সে সহজেই ছোট খাট বিপদ ও পাপ থেকে বাঁচতে পারে। শুধু বাঁচতেই নয় বরং অন্যকে বাঁচাতেও পারে। খেয়াল করে দেখছি- সমাজে দিন দিন অপরাধ বাড়ছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের মাধ্যমে। তো, একটা ছেলে বা একটা মেয়ের যদি চারিত্রিক সমস্যা না থাকে তাহলে কি এমন বিপদ হয়?
বিস্তারিত বলতে- ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ- এই দুটো জিনিস প্রকাশ পায় মানুষের চরিত্রে। আপনি (ছেলে বা মেয়ে) প্রাইভেট হোক বা কলেজে পড়তে গেলে, কর্মক্ষেত্রে কিংবা অনলাইনেই হোক- কেউ আপনাকে দূর্বল করার জন্য খোঁচা দিবে আর আপনিও গলে যাবেন? কিংবা পাল্টা খোঁচা দিবেন? কৌশলবশত চুপ থাকা যায় না? যে যাই বলুক না! গায়ে না মাখলেই হয়! অফিসের বস হোক বা স্যার, প্রোমোশনের জন্য হোক বা পরীক্ষায় নাম্বার না দেয়ার ভয় দেখিয়ে হোক- আপনি (মেয়ে) সম্পর্ক গড়ে তুলবেন? বেডেও যেতে রাজি হবেন? তাহলে বলবো আপনার মধ্যে সমস্যা আছে। হ্যাঁ, দ্বার্থহীন কন্ঠে আমি বলবো- মেয়েদের মধ্যে তো সমস্যা আছেই, যখন তারা পরপুরুষের সাথে দৃঢ় কন্ঠে কথা না বলে, ঢং করে আবেদনময়ী ভঙ্গিতে কথা বলে (পরোক্ষভাবে যেটা অন্যের হৃদয়ে ব্যাধির সৃষ্টি করে)। তাছাড়া অপ্রয়োজনীয় আলাপ, হই- হুল্লোড়, বেপরোয়া মনোভাব, কথা, কাজ ও পোশাকে উগ্রতা- ছেলে মেয়ে উভয়ের জীবনে বিপদ ডেকে আনে। কারণ, এগুলোর মাধ্যমেই যে কারো মানসিক দিক, ভাবমূর্তি তথা আদর্শ ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়।

উল্লেখ্য, পোশাকের উগ্রতা বলতে (মেয়েদের ক্ষেত্রে) শরীরে ওড়না না থাকাটাই আমি বুঝি। কারণ কিছু মেয়েদের অভ্যাস হচ্ছে ইচ্ছে করে নিজের সৌন্দর্য ছেলেদের উদ্দেশ্যে ফুটিয়ে তোলা। তারা ইকটু টিজ করুক, তার দিকে তাকিয়ে থাকুক তারা সেটাই চায়। সুতরাং চরিত্রে সমস্যা! আবার ছেলেরাই বা কম কিসে? ইদানিংকার প্যান্টের স্টাইল দেখেছেন? ছেঁড়া থাকা তো সেটা পুরোনো স্টাইল, লক্ষ্য করে দেখবেন, শুধুই যেনো সামনের চেইনটার জন্য কাপড় বরাদ্দ থাকে। তথা সিস্টেমটা এমন হচ্ছে যে আপনার সতর পুরোপুরি ঢাকবে না। তাছাড়া কিছু ছেলেদের সমস্যা হচ্ছে- মেয়ে দেখলেই আর হুশ থাকে না। এক নজরেই ওদের সব কিছু দেখা হয়ে যায়, কখনো জোর খাটানো কিংবা আগ বাড়িয়ে কথা বলার জন্য উতলা, আর যদি দুয়ে দুয়ে মিলে যায় তাহলে তো কথাই নেই; বগলে নিয়ে ঘুরলে, অতঃপর বেডে নিতে পারলে সমস্যা কোথায়? আসলে যাদের এসবে সমস্যা হয় না, তাদের চরিত্রেই মারাত্মক সমস্যা আছে। যেকারনে পরবর্তীতে এসব বেডমেটরাই তাদের জীবনে ধ্বংস ডেকে আনে।

যাই হোক- সমাধান একটাই নিজের ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ ঠিক করা। তা, এটা ঠিক রাখবো কিভাবে? এর উত্তরে একটু স্মৃতিচারণ করে বলি- ছোটবেলায় শিখেছিলাম প্রিয় ব্যক্তিত্ব কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতে হবে- রাসূলুল্লাহ সাঃ। কিন্তু কেনো বলতে হবে, এর তাৎপর্য তখন বুঝিনি, ভেবেছিলাম…মুসলমান বলে হয়ত এটা বলতে হবে। তবে পরবর্তীতে বুঝেছি। আসলে আমরা পড়াশুনা করিনা বলেই এই দশা! একটা মানুষ যদি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জীবন অধ্যায়ন করে, দিনে একটা হলেও আয়াত (নিজ ভাষায়), একটা হাদিস পড়ে ও সেভাবে চলার চেষ্টা করে- তাহলে সে তখন নিজ ইচ্ছায় বলবে- আমার প্রিয় আদর্শ ও ব্যক্তিত্ব রাসূলুল্লাহ সাঃ। সুতরাং, জীবনটাকে সুন্দরভাবে গড়তে হলে চারিত্রিক সমস্যা দূর করে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যথায়, অপরাধ হবেই, আর সেই সব অপরাধের পিছনে থাকবে প্রাথমিক পর্যায়ে করে আসা ভুলগুলো।  

Visits: 11

মন্তব্য
Loading...
//whazunsa.net/4/4139233