শুদ্ধ নদী
বুকের ভেতর একটা নদী প্রবাহিত করতে চাই
যার স্রোতে অচ্ছুত সব সংকীর্ণতা,
অপ্রাপ্তির কদর্যতা ভেসে যাবে।
দিয়ে যাবে একটা নৌকা,
বয়ে নিয়ে যাবো বহুদুর!
বহুদূরের সীমানায় প্রতীক্ষিত একগুচ্ছ কাশফুল।
ওখানে হাসির ফোয়ারা বয়, আবার মাঝে মাঝে
দিতে হয় ত্যাগের পরিচয়।
ইচ্ছে হলেই ওখানে যাওয়া যায়!
কিন্তু বুকের ভেতরের নদী পরিশুদ্ধ না হলে থাকাটা দুঃস্বপ্নময়।
এই সীমানায় আসার একটাই নদী..
যার তীব্র স্রোত অন্তরে প্রবাহিত হতে হয়।
তারপর স্রোতের গতিতেই ছবি অংকিত হয়,
কোন একটি ইন্দ্রিয় প্রচন্ড করাঘাত করে হৃদ দরজায়,
তখনই!
কি পেলাম? কি পেলাম না?
হিসাবের খাতা ছিড়ে ফেলে,
পথে পথিক মুক্তির রশিতে নিজে বেঁধে নেয়।
আবার চলতে চলতেই অচ্ছুত চিন্তারা মাথাচাড়া দেয়,
অনেক সময় পথিক এলোমেলো হয়ে যায়।
চিন্তার অসারতায় ইস্পাত হৃদয়ে ফাটল ধরায়।
চাঁদও কিছু কলংক নিয়ে পৃথিবী আলোকিত করে যায়,
‘মানব’ হয়ে থাকবো ভুলের উর্ধ্বে
এ চিন্তাতেই পাপ মিশ্রিত থাকে।
অন্যকে একবার দেখে, নিজেকে শতবার দেখতে হবে অনুতাপের আয়নায়,
অন্যের দোষে রঙ না লাগিয়ে
শুদ্ধতা ঢালা উচিত নিজস্ব কদর্যতায়।
তবু ‘কেন এমন!’ কথাটা মুছে দিয়ে
আরেকবার স্নান হোক পরিশুদ্ধ নদীতে।
মুক্তির স্বপ্ন বুনোক পথিকে অহংকার থাকেনা মিশে!
তবে কেন এত দেরি হিসাবের খাতা ছিড়তে?
এমন তো হবার নয়,
সব হিসাবের প্রাপ্যতা এখানেই মিলবে!
কিছু হিসাবের সবুজন্ততা মিলুক না হয় ওখানে গিয়ে।
Visits: 1