সুযোগ বুঝে ব্যভিচার!

0 ৭৭

সমাজে কিছু চরিত্রহীন নারী-পুরুষ রয়েছে যারা সুযোগ খুঁজে নিজে ব্যভিচার করে এবং অন্যের স্বামী/স্ত্রীকে এই কাজে জড়ায়। সুযোগটা হচ্ছে এমন-কোনো পুরুষের স্ত্রী যখন অন্তঃসত্ত্বা থাকে আর কোনো নারীর স্বামী যখন প্রবাসে কিংবা দূরে অবস্থান করে। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা থাকলে কিংবা স্বামী প্রবাসে থাকলে সেই স্বামী কিংবা স্ত্রী’র যৌন চাহিদা বাধাগ্রস্থ হয়। তবে সাময়িক এই বাঁধার সময় যেখানে ধৈর্য ধারণ করার কথা সেক্ষেত্রে- কিছু পুরুষ অজুহাত দেখায়-“কি করুম! উপায় নাই! আমার তো ঠান্ডা হওন লাগবো, তাই ইকটু ঐ মেয়ের সাথে বিছানায় যাওয়া…”। আর কিছু নারী, স্বামী যেহেতু সামনে নাই- তাই ভিন্ন পুরুষকে হাত করার চেষ্টা করে। উপরি দরদ দেখিয়ে বিছানায় টানে। আবার কিছু নারী বিছানায় না ডাকলেও ফোন সেক্স করে বলে- “একটু কথা বলে সময় কাটাই। এই আর কি…!” সমাজের এমন গোপন পাপের কেস স্ট্যাডি বললে হয়ত শেষ হবে না, অনেক ঘটনা অপ্রকাশিত। এমনও অনেক বাচ্চা-কাচ্চাওয়ালা স্বামী-স্ত্রী আছে বাইরে পরপুরুষ বা পরমহিলার সাথে সেক্স করে এসে বাসায় তার জীবনসঙ্গীকে বলে- “তোমাকে অনেক ভালোবাসি”।

 
সমাজের এমন অবস্থার জন্য নৈতিক অবক্ষয় যেমন দায়ী তেমনি ধর্মে এমন গোপন পাপের শাস্তি মৃত্যদন্ড থাকলেও দেশের প্রচলিত আইনে বাস্তবায়ন না থাকায় সাহস বেড়ে যাচ্ছে চরিত্রহীন বিবাহিত নারী-পুরুষদের।

 
তাই আমাদের করণীয় কি সেটাই আগে ভাবতে হবে। অনেক স্বামী- স্ত্রী বিভিন্ন কারণে একসাথে থাকতে পারেন না, হয়ত ভিন্ন জেলায় থাকেন কিংবা দু’জন দুইদেশে। সেক্ষেত্রে প্রথমেই চেষ্টা করতে হবে জীবনসঙ্গীকে একসাথে রাখবার। তবে, এটাও সত্য, বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন সমস্যা। তা, কাছে রাখা যদি আপাতত সম্ভব না হয় তবে টেকনলজির এই যুগে ফোনে হোক বা ভিডিও চ্যাটিং- যেভাবেই হোক, শত ব্যস্ততার মাঝে রীতিমত জীবনসঙ্গীকে সময় দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। যাতে কিছুটা হলেও তার একাকীত্ব দূর হয় এবং সম্পর্কে শয়তান না আসে।(এমন চেষ্টা উভয়পাশ থেকে হওয়া উচিত)।
এদিকে একজন স্ত্রী যখন অন্তঃসত্ত্বা থাকে তখন সেই প্রতিস্থিতিতে যেখানে স্বামীর দিক থেকে আদর-যত্নের প্রয়োজন, ভালবাসার প্রয়োজন, প্রয়োজন মানসিক দৃঢতার- কারণ এসময়কার কষ্ট অনেক সময় অন্যকে বুঝানোও যায় না- তবে সেই কঠিন মূহুর্তে কিছু চরিত্রহীন বিবাহিত পুরুষ “আমার দৈহিক প্রয়োজন মেটানো লাগবে” এমন যুক্তি দেখিয়ে চরিত্রহীন নারীর দারস্থ হোন- এটা কি নৈতিকতা? মানবতা? ইসলাম কি বলে অবৈধ পন্থায় প্রয়োজন মেটাতে? যেখানে অবিবাহিত অবস্থায় ধৈর্য ধারণ, বিয়েটা সহজ করা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোজা রাখারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 
যাই হোক- আজকে যেসব চরিত্রহীন নারী-পুরুষদের নিয়ে লিখলাম হয়ত এরা আমাদের আসে পাশেই আছেন- আমাদের আত্মীয়/ বন্ধুবান্ধবদের মধ্যেই আছেন। তবে, “থাক! কিছু বলবো না, বললে সম্পর্ক খারাপ হবে”- এমন চিন্তায় বসে থাকলে সমাজ নষ্টের পিছনে আমরাও দায়ী সেই লোকটাকে ভালো কথা না বলার জন্য।
অবশেষে, নিশ্চয়ই চরিত্রবান লোকদের জন্য চরিত্র ঠিক রাখা ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা না। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের শয়তানের কাছ থেকে হিফাজত করো। নিশ্চয়ই তুমি হিফাজত করলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না…

Visits: 0

মন্তব্য
Loading...
//vaitotoo.net/4/4139233