সালাত ও এ্যালার্ম….

0 ৮৩

কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা খুউবই ভদ্র.. এ্যালার্ম ছাড়া ফজর সালাত জাগা পাওয়া যেন এক প্রকার অভদ্রতা ! তবে এরকমও হয়যে আমরা প্ল্যান করি স্বপ্ন দেখি সকালে উঠে ফজর দিয়ে দিন শুরু করার ;
আমাদের ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় সেটা বাস্তব রুপ নেয়না.. ব্যাপারটা এরকম তিনটা পর্যায়ে ধরা যায়-
১.আশা/ইচ্ছা ২.বাস্ত চিত্র ৩.যেটা করা উচিত ছিলো..
## প্রথমত আশা..
আমরা রোজ আশা রাখি যে ঠিক সময়ে সালাত আদায় করব; অনেক প্লান সেই সাথে কিছু স্টেপও নিয়ে থাকি যেগুলো আশার মধ্যেই পরে..
##
যখন প্রভাতের রক্তিম আলো ঝলমলে সূর্যকে দাওয়াতা করে তখন আমরা গভীর নিদ্রার দাওয়াতে মাতয়ারা.. মনে হয় এইতো সবেমাত্র ঘুমালাম।প্রভাতের রক্তিম আলো যেমন দিনকে আলোকিত করার জন্য আসে সকাল টাও তেমন তোমার পুরো দিনের কার্যক্রমকে শক্তি যোগাবার জন্য শুরুত্বপূর্ণ সময়..
বিশেষ্যজ্ঞদের মতে; যখন সকালে একজন লোক তার দিনটা শুরু করে উদ্দমতা ও সঠিক সময় ব্যয়ের মধ্য দিয়ে তখন তার পুরো বডি একটা বিশেষ ফ্রেশনেসের মধ্যে থাকে; সকালে যারা নাস্তা করে কাজে যায় তারা মেধার দিকটা সংরক্ষন করতে পারে.. এরকম হাজারো কথা মেডিকেল সায়েন্স বলে দিচ্ছে ।
ডেভিট মার্টিন তার জীবনের উন্নতির কথা বলতো এভাবে..” আমি সকালে ঘুম থেকে ওঠা একদম অপসন্দ করতাম ; কিন্তু চিন্তা করে দেখলাম উন্নতি করতে হলে আমার একাজটা করতেই হবে। সেজন্য বারবার কাজটি করতে থাকলাম ; নিজের প্রবৃত্তিকে চপোটাঘাত করা যাকে বলে.. অবশেষে সফল কাম হলাম তখন মনে হল সূর্যটাকে ছিনিয়ে এনে বুঝি বুক পকেটে পুরে ফেলেছি..”
প্যাভেলিন তার বায়োগ্রাফিতে এভাবে লিখেছেন ;” সকালের ঘুম ভেঙ্গে উঠে কিছু সময় কাজ করা মানে পুরো দিনটাকে কার্যকরী করা.. ”
##দ্বিতীয়ত বাস্তব চিত্র..
আমরা রাত নটার মধ্যে যদি ডিনার করে ফেলি তাহলে দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে ঘুমুতে যাবার জন্য বেডে যাই ; অতঃপর.. ঘুমানো উচিত .. কিন্তু এমন হয়..

*প্রথমে একটু ফেসবুক ; তারপর টুইটার; ইনস্টাগ্রাম; চ্যাটিং সহ নানা কাজ করতে করতে দুতিন ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে যায়..
রাত যখন তার মধ্য ভাগের দরজায় আঘাত হানবে তখন একটু ঘুমের অভিনয় করি বাট তখন ঘুম অলরেডি টা টা দিয়ে ফেলসে,..
যখন রাত দ্বিপ্রহর তখন ঘুম আসেনা আসেনা করে করে ভাবি ওহ যাই ইউটিউবের মোলাকাত করে আসি .. এভাবে কিছু সময় কেটে যায় তখন ঘুমের জন্য ভেতরের প্রবৃত্তি তাগিত দিতে থাকে..
এবং সর্বশেষ ঘুমুতে যাবার আগে স্ট্যাটাস দিই ঘুম আসছেনা.. রাতের ভূত.. রাত জাগা পাখি.. অনেক কিছু…
অবশেষে ঘুমাই ফোনটা মাথার কাছে রেখে যেন এ্যালার্ম ডেকে দেয় আমাকে নামাযের জন্য.. অথচ ঘুমটা আগেই আনতে পারতাম..
এরকম অনেক ভাই -বোনকে দেখেছি তাদের অভিনব পদ্ধতি এ্যালার্ম তারা তারা তাদের বেড থেকে কলাপসিবল গেট পর্যন্ত রেখে দেয় ..
কিন্তু তবুও কাজ হয়না.. এ্যালার্ম ক্লান্ত হয়ে যায় তবুও ঘুম ভাঙ্গেনা..
অবশেষে বেলা দ্বিপ্রহর হয়ে যায় তখন উঠে মন মেজাজ সবই মধ্যাহ্নের মত খসখসে থাকে কাজগুলোও নষ্ট হতে থাকে..

##তৃতীয়ত্ব..
কি করা উচিত ছিলো আসলে… অসংখ্য অসংখ্য হাদিসে কিছু সহজ কথা বলা হয়েছে কিছু দোয়া পড়ে ঘুমানোর কথা বলা হয়েছে… সেগুলো আমরা সবাই জানি..
যেটা করলে স্বয়ং দায়িত্ব নিয়ে নেন।
আমরা আশা করি একটা ইলেক ট্রনিক ডিভাইস কোন জান্ত প্রাণিওনা যে কিনা সালাতের মত একটা গুরুত্বপূর্ন ফরজ কাজের জন্য আমাকে ডেকে দিবে!!!
কি অদভূত আমাদের মন -কি অযোক্তিক বিবেক..!!
## জীবনের ক্ষেত্রও এভাবেই হারিয়ে ফেলি .. মনকে প্রবোধ দেই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত পদক্ষেপ ব্যতিতই আল্লাহর সাহায্য আসবে…
## একটা জড়বস্তুকে নয়; নিজেকে সালাতের প্রহরী বানাই ; নিজেকে জান্নাতের ঠিকাদার বানাই এরকমই হওয়া উচিত…

Visits: 2

মন্তব্য
Loading...
//shasogna.com/4/4139233