প্রতিটা ধর্মই একেকটি বিশ্বাস,আর মানুষের বিশ্বাসের জায়গাটা সবচেয়ে বেশী স্পর্শকাতর।
আমি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মে বিশ্বাসী নই।স্বাভাবিকভাবেই আমি ঐ ধর্মের মানুষগুলোর নিকট অবিশ্বাসী বলে পরিচিত।
কিন্তু ঐ ধর্মের মানুষগুলো কখনো বলতে পারবেনা,আমি অবিশ্বাসী বলে ওদের বিশ্বাসের জায়গায় কোন আঘাত করার চেষ্টা করেছি।
অবিশ্বাস করা আর একটি ধর্মের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগে কুৎসা রটানো এক সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত নয়।পৃথিবীর সকল মানুষই কোন না কোন ধর্মের নিকট অবিশ্বাসী।কিন্তু এই অবিশ্বাসীদের সকলে ঐ ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে নিজেদের অবিশ্বাস প্রমাণ করছেনা।
প্রতিটি দেশেই ধর্মের ব্যাপারে আইন করা আছে।কেউ কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে কোনসময় আঘাত দিতে পারবেনা।এবং প্রত্যেক দেশই সেই আইন বলবৎ রাখার চেষ্টা করে।
আমি এইক্ষেত্রে একটা সহজ দেই।
আমার রুমে আমার যা ইচ্ছে,তাই করার অধিকার আছে।আমি সারাদিন ঘুমাই বা ফুলস্পিডে গান শুনতে পারি।এগুলো আমার অধিকার।
কিন্তু আমার গান শোনার অধিকার থাকার কারনে আমার রুমমেট বা পাশের রুমের কোন পরীক্ষার্থীর অধিকার খর্ব করছি,সেটি আমাকে কে বলবে?আমি যদি বলতে থাকি,আমার অধিকার আছে,তাই আমি এটি করছি।
কিন্তু পরে যদি অন্যরা আমার ঘুম বা পড়ার সময় গান শোনে,তাহলে তখন কি আমি তাকে অধিকারের বিষয়ে কথা বলতে পারবো?
বাক-স্বাধীনতা মানে অন্যকে আঘাত করা নয়,নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার নামই বাক-স্বাধীনতা।
আমি অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুতে খুশী।আর সেটা আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের কারনে।আমার বিশ্বাসই আমার দুর্বলতা।প্রত্যেকেই তার বিশ্বাসের জায়গায় আঘাতটি সহ্য করতে পারেনা।আমিও কষ্ট পেতাম।হয়ত অনেক সময় কষ্ট হলেও মুখ বুজে থাকতাম।
আপনিও আপনার মতবাদ প্রচার করতে পারেন।স্রষ্টাহীন পৃথিবীর পক্ষে যুক্তি দিতে পারেন,কিন্তু কোন ধর্মের স্রষ্টা ও মহাপুরুষকে নিয়ে কুৎসা ও অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিবেন,সেটি কোন যুক্তিই নয়।
নাস্তিকের মৃত্যু কাম্য নয়,কিন্তু যারা অন্য ধর্মকে নিয়ে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে,তাদের মৃত্যু কামনা করি।
এরা সমাজের ভাইরাস।ভাইরাসগুলোকে ভাইরাসের মত হত্যা করা উচিত।এবং ভাইরাসের জীবাণুগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া উচিত।
Visits: 1