নব্য দম্পতিদের জন্য…

0 ৮৬

১/ আপনি কেমন এটা বুঝানোর আগে, আপনার জীবনসঙ্গী কেমন- এটা বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেরটা বলার আগে তারটা শুনুন। এতে আপনারই সুবিধা হবে।

২/ তার কোনো ধারণা আপনার কাছে বিতর্কিত বা ভ্রান্ত মনে হলে-হুট করে বিরূপ মন্তব্য করা বা তাকে নিচু দেখানো থেকে বিরত থাকুন। সময় সুযোগ বুঝে নিজের মতামত প্রকাশ করুন। তবে হ্যাঁ- আপনার স্বামী/স্ত্রী’র মত সঠিক হলে সেটা মেনে নেয়ার মানসিকতা গড়ে তুলুন। আশা করা যায় জীবন সহজ ও আনন্দময় হবে।

৩/ সবার সামনে আপনার স্বামী/স্ত্রীকে নিন্দা বা সমালোচনা এবং আরেকজনের স্ত্রী/স্বামী’র প্রশংসা করবেন না। কারো কোনো ভালো গুণ আপনাকে প্রভাবিত করলে সেই গুণটি নিজের জীবনসঙ্গীর মধ্যে দেখতে চাইলে- তুলনা করে নয় বরং সে যাতে নিজ থেকেই সেই গুণে গুণান্বিত হয় সেই পথে তাকে উদ্বুদ্ধ করুন।

 
৪/ শারীরিক কোনো বিষয় নিয়ে আপনার জীবনসঙ্গীকে খোঁটা দিবেন না। যেহেতু বিয়ের আগে আপনি তাকে দেখেই বিয়ে করেছেন। তাছাড়া প্রত্যেক নারী-পুরুষের এটা উচিত যে, গোপন কোনো রোগ থাকলে না লুকিয়ে সেটা বলে ফেলা। যার সাথে বিয়ে হওয়ার এমনিতেই হবে।
 

৫/ আপনার স্বামী সারপ্রাইজ হিসাবে কোনো গিফট আনলে, পছন্দ না হলেও হাসিমুখে সন্তুষ্টচিত্তে তাকে ধন্যবাদ জানান। কারণ- সে আপনার জন্য এই কষ্টটা করেছে। সেটার মূল্যায়ন করুন।

৬/ আপনার স্ত্রী বাসায় আপনার জন্য কখনো সাঁজলে তার প্রশংসা করুন। তাকে সুন্দর না লাগলেও তার প্রশংসা করুন।”কি দরকার ছিলো? সময় নষ্ট… আসলে তোমাদের তো কোনো কাজ থাকে না…”- এসব অহেতুক কথা না বলাই শ্রেয়। কারণ সে সারাদিনের কাজ সেরে শুধু আপনার কথা মনে করেই সেজেছে। তাই নিজের ধারালো কথায় তার মন ভেঙ্গে দেয়ার পাশাপাশি নিজের ভাগ্য ছোট না করে আপনার স্ত্রী যাতে আপনার জন্যই সাঁজে- সেই জন্য তাকে উৎসাহিত করুন।

৭/ পথে- ঘাটে, চলতে ফিরতে, অফিসে, কোনো প্রতিষ্ঠানে বা পত্রিকার পাতায় কোনো পুরুষ বা নারীর গেটআপ আপনার পছন্দ হলে- তার দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজের স্ত্রী’র জন্য তেমন ড্রেস বা সামগ্রি কিনে দিন কিংবা নিজের স্বামীকে তেমনভাবে সাঁজতে বলুন- যাতে আপনি বৈধ পন্থায় বৈধ ব্যক্তির প্রতি আকৃষ্ট হন। মূলত- নিজের পছন্দের জিনিসটা নিজের জীবনসঙ্গী’র মাধ্যমে অর্জন করার চেষ্টা করুন।

৮/ নিজের জীবনসঙ্গীকে, হোক সেটা রাগের বসে-এমন কথা বলবেন না- যেটা আপনাকে সে বললে আপনারও খারাপ লাগবে।

৯/ কর্তৃত্বপরায়ণতা নয় বরং নিজের মধ্যে দায়িত্বশীলতা গড়ে তুলুন। মনে রাখবেন-দায়িত্বশীলতা আসে ভালোবাসা থেকে। আপনারা পরস্পরকে ভালোবাসেন- এটা প্রকাশ করুন। আপনার জীবনসঙ্গী’র মধ্যেও দায়িত্বশীলতা তখনই আসবে যখন সে বুঝবে আপনি তাকে ভালবাসেন।

 
১০/ বিয়ে মানে শুধুই শারীরিক সম্পর্ক নয়, বরং এর সাথে জড়িয়ে আছে মানসিক সম্পর্কও। সুতরাং- আগে এই সম্পর্কটা সুষ্ঠ ও মজবুত করার চেষ্টা করুন।

 

Visits: 0

মন্তব্য
Loading...
//eecmauks.net/4/4139233