স্বকীয়তা……

0 ৯৪

স্বকীয়তার বিনাশ হয় না – স্বকীয়তা সম্পন্নরা কখনো ভয় পায় না।
স্বকীয়তা সম্পন্ন ব্যক্তি স্বকীয়তা-ই চর্চা করে – স্থান, কাল, পাত্র এদের কাছে বিবেচ্য নয়। স্বকীয়তা সম্পন্ন ব্যক্তি যা চর্চা করে তা-ই স্বকীয়তা – হতে পারে তা খুবই সামান্য। এ ধরনের লোকদের কাজ দেখলেই এদের স্বকীয়তা বুঝা যায়, তা সে যত ছোট বা সাধারন কাজ-ই হোক না কেন (এরা স্বকীয়তার মাধ্যমে সারাক্ষন value add করতেই থাকে)। ব্যাপারটা এমন না যে, স্বকীয়তা জমা থাকে – ইচ্ছে হলে use করলাম বা করলাম না। স্বকীয়তা নিজে থেকেই কাজের মধ্যে ফুটে উঠে – এটা রোধ করা যায় না (যদি কারো মধ্যে তা থাকে)। কাজেই, স্বকীয়তা বৈচিত্রহীন হবার কোন সুযোগ-ই নাই। প্রকৃত স্বকীয়তাহীন ও অধৈর্য ব্যক্তিরাই এধরনের আতঙ্কে ভুগে থাকে। কারন স্বকীয়তা হচ্ছে মেধা ও কঠোর পরিশ্রমের ফসল।
স্বকীয়তা একটি মৌলিক বৈশিস্ট – এর আচরনও মৌলিক, এছাড়া সে অন্য কিছু জানে না। যদি কোনঠাসা হয়ে পড়ে তবে বুঝতে হবে এটা কৃত্রিম স্বকীয়তা বা স্বকীয়তার মত (প্রকৃত স্বকীয়তা নয়) অথবা আভ্যন্তরীণভাবে স্বকীয়তার বৈশিস্ট লোপ পেয়ে গিয়েছে – একমাত্র মৃত্যুই পারে একে দমাতে – হয়ত। হয়ত বললাম, কারন – “এনে ছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রান, মরণে তাই … … … করে গেলে দান”। এখানে মৃত্যুও স্বকীয়তার কাছে পরাজিত।
স্বকীয়তার বৈশিষ্ট লোপ পায় কেবল ব্যক্তির নিজের মধ্যকার বিষয় (issue) সমূহ দ্বারা, বাহ্যিক কারন এখানে ভুমিকা রাখতে পারে না। কারন, এটা (স্বকীয়তা) মৌলিক বৈশিস্ট। যেমন – লোহাকে যতই আঘাত বা উ্প্তপ্ত করা হোক না কেন তা লোহা-ই থাকে, কার্বন হবে না। খুব বেশি হলে de-form বা de-shape হতে পারে। কিন্তু এটা লোহা-ই থাকবে, এর দ্বারা লোহার কাজ-ই হবে, অন্য কিছু নয়। বরঞ্চ অনেক ক্ষেত্রে আঘাত বা তাপে লোহা আরো শানিত হয়। হাঁ, লোহার বৈশিস্ট দূর (লোপ) করার উপায় হ’ল chemical reaction -এর মাধ্যমে এর অভ্যান্তরীণ বৈশিস্ট বদলে দেয়া। মানুষের ক্ষেত্রে chemical reaction সম্ভব না – এর পরিণতি মৃত্যু।
by Sheikhul Ripon

Visits: 0

মন্তব্য
Loading...