‘চারুকলা’- আবশ্যিক কেনো?

0 ৬৯

একটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বিকল্প বিষয় ছাড়া এমন কোনো বিষয় সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়- যাতে কোনো ধর্মের বিধান ও ধর্মাবলম্বিদের অনুভূতিতে আঘাত হানে। তা, সেই বিষয়টা প্রথম শ্রেণি থেকে যত উপরের শ্রেণিতেই হোক না কেনো…

 
বলছি – ‘চারুকলা’ বিষয়টির কথা- যেটা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আবশ্যিক একটা বিষয়। যেখানে শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়েই; ‘মানুষ’, মানুষের জীবনধারা- এসব অঙ্কন করতে হয়। অথচ এই ‘মানুষ’ তথা প্রাণ আছে এমন জিনিস অঙ্কন করা কিংবা মুর্তি বানানোর ওপর ইসলামে নিষেধাজ্ঞা আছে- এই বলে যে- পরকালে আল্লাহ সেই শিল্পীকে তার বানানো প্রাণহীন জিনিসে প্রাণ দিতে বলবেন- যেটা সে পারবে না। কারণ প্রাণ দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ’র হাতে। তা, ইসলামের এই বিধানটা অনেক মুসলিম পরিবার ও শিক্ষার্থী জানে না, আবার জানা থাকা স্বত্বেও (বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায়) পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের আশায় বাধ্য হয়েই প্রাণী অঙ্কন করে। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থার সাথে জড়িত যারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষণস্থায়ী ইহকালের প্রাধান্য বিস্তার করে, চিরস্থায়ী পরকালের চিন্তাকে তুচ্ছভাবে নেয়ার ট্রেনিং দিচ্ছেন তারাও কি পরোক্ষভাবে অন্যায়ের ভাগিদার নয়?

 

হ্যাঁ, আমরা জানি পৃথিবী জুড়েই যেকোনো ধর্মেই, প্রকৃত ধার্মিকের অভাব- একই সূত্রে অনেক মুসলমানরা চারুশিল্পকে শখে পরিণত করে ফেলেছে। তবে, আমি মনে করি- বাধ্য হয়ে কোনো ধর্মের লোক পাপে জড়াক- এমন ব্যবস্থা না করাই উত্তম। তাই চারুকলার বিপরীতে ক্যালিগ্রাফি বা নির্জীব বস্তু অঙ্কন- এমন টাইপ বিকল্প বিষয় রাখা যেতে পারে।

Visits: 2

মন্তব্য
Loading...
//zaltaumi.net/4/4139233