শাটল ট্রেনে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি
ইংলিশ চ্যানেল একটি সংকীর্ণ সাগর। এই সাগড়টি উত্তর ফ্রান্স এবং দক্ষিণ ইংল্যান্ডকে পৃথক করেছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার। এই চ্যালেন পাড়ি দিয়েই ফ্রান্সে যেতে হয়। নেদারল্যান্ডের উদ্দেশ্য আমাদের যাত্রা পথে এই চ্যানেলটি পাড়ি দিতে হয়। খুব মজার এক অভিজ্ঞতা হয় চ্যানেলটি পাড়ি দেয়ার সময়।
বাস এসে থামে বর্ডারে। প্রথমে ইংল্যান্ডের ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট চেক করা হয়, এরপর কিছু দূরে ফ্রান্সের ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট-ভিসা চেক করা হয়। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করার পর আবারও বাসে উঠি আমরা। একটু পড়েই বাস একটা শাটল ট্রেনের ভেতর ঢুকে যায়। সেই ট্রেন কিছুক্ষণ পর চলতে শুরু করে, চলে যায় সাগড়ের নিচে টানেলের ভেতর।
নিচের যে ছবিটি দেখছেন সেটা শাটল ট্রেনের ভেতর থেকে তোলা। ভাবতেই অবাক লাগে কত নিচ দিয়ে ট্রেন চলছে। সাগড়ের নিচে মাটি, মাটির নিচে টানেল, টানেলের ভেতর ট্রেন, আর ট্রেনের ভেতর আমরা ও আমাদের বাস !
মজার বিষয় হচ্ছে সাগড়ের তল দিয়ে এই সুরঙ্গটির মাধ্যমে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছি ১৮০২ সালে। শেষ পর্যন্ত ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝিতে এসে এটির খননকাজ শুরু হয়। ১৪ বছরের দীর্ঘ সময় নেয়া কাজটি সমাপ্ত হয় ১৯৯৪ সালে। এই সুড়ঙ্গ বা টানেল দিয়ে যাত্রী, গাড়ি ও ট্রাক পরিবহন করা হয়।
#ICCVisit #LawPlatformUK
Visits: 1