জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিঃ কেনো সমালোচনার ঝড় উঠেছে চারদিক..??

0 ৬৬
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের লক্ষ্যকে সামনে রেখে। যেটি ছিলো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কিন্তু বার বার এ পদ্ধতিকে স্বার্থন্বেষী মহল তাদের সংকির্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছ।পাসের হার বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যপক অগ্রগতি করেছে এমনটি প্রমাণ করতে এ পদ্ধতিকে অসৎভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। গতবছর দেখেছি, পরীক্ষার রাতে পড়াশুনা বাদদিয়ে শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করেছে কখোন প্রশ্ন পাবে সেই আশায়। এভাবে বেড়েছে ভালো জিপিএ(তবে ব্যতিক্রমও আছে)। এমন কি জিপিএ বাড়ানো না হলে শিক্ষকদের এমপিও বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি এমন অনেক শিক্ষকদের সম্পর্কে জানি যারা নিরুপায় হয়ে হয়ে শুধু আফছোস করে বলেছে এই জন্যকি দেশটা স্বাধীন হয়েছিলো। এই ভাবে যে জিপিএ অর্জণ করেছে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ তা দিয়ে কি সত্যিকারের মেধা মুল্যায়ন হবে..?এর প্রমাণ আমরা পেয়েছি গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় যখন মাত্র ২ জন উত্তির্ণ হয়েছিল তখন। এতেইতো প্রমাণিত হয় আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু ভালো জিপিএ পাওয়ার জন্যই পড়ালেখা করে জানার জন্য নয়। আর এইভাবে পাওয়া জিপিএর ভিত্তিতে যদি ভর্তি পরীক্ষা হয় তা হবে জাতির জন্য একটি কলঙ্ক জনক ঘটনা। কারণ গ্রেডিং দিয়ে এখন যত বেশি মেধা যাচাই হচ্ছে তার চেয়ে বেশি মেধার অপব্যবহার করা হচ্ছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত হবে দেশের উচ্চশিক্ষার জন্য অশনি সঙ্কেত এবং আত্মঘাতীস্বরূপ।
এখনো সময় আছে বাস্তবায়নের আগে এটিকে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। তা নাহলে এ ধরনের অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দেশে অশিক্ষিত প্রজন্ম সৃষ্টি হবে। যাদের দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে পড়ব। একই সাথে অকর্মণ্য প্রজন্মের হাতে পড়ে দেশে অনিশ্চিত অন্ধকারের অমানিশা নেমে আসবে।

Visits: 1

মন্তব্য
Loading...
//almstda.tv/4/4139233