গরীরেব সুন্দরী বউ, পাড়া পড়শীর ঘুম হারাম!

0 ৬৪

দিন মজুর প্রতিবেশির ছেলে যখন ভালো কিছু করে তখন গৃহস্থের বখে যাওয়া ছেলের মা হিংসায় জ্বলে মরে। নিরীহ প্রজাতির এই মানুষগুলোকে তখন শত্রুর চেয়েও খারাপ মনে হয়। অথচ এর উল্টোটা হলে কিন্তু সহানুভুতির কমতি থাকে না। বাংলাদেশ এবং ভারত প্রতিবেশি হলেও আজকাল এদের মাঝে এরকম সম্পর্কই বিরাজ করছে। বৃহৎ জনশক্তি, সুবিশাল ভুখন্ড, সামরিক প্রতিপত্তি সব কিছু মিলিয়ে ভারত নিজেদেরকে প্রায় পৃথিবীর শাসক পর্যায়ের ভাবা শুরু করেছে। অন্তত প্রতিবেশিদের শাসন নামের শোষন তো করেই যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ যদি মেধা এবং যোগ্যতায় ভারতের চেয়ে পিছিয়ে থাকতো তাহলে শোষনের পাশাপাশি একটু সমবেদনাও পাওয়া যেতো। কিন্তু দিনের পর দিন ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের উপর্যুপরি উন্নতি ভারত বাসীকে হিংসার আগুনে পুড়িয়ে মারছে। বর্তমান ক্রিকেট সিরিজ উপলক্ষে ভারত বাসীর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখলে হতভম্ব হয়ে যেতে হয়। মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং সুন্দরকে স্বাগত জানানোর মানুষিকতার এতোটা ঘাটতি আমি ভারত ভিন্ন অন্য কোথাও দেখেছি বলে মনে হয় না। ভারতের যে সব বিষয় রপ্ত করতে বহু বছর লেগেছে সেগুলো বাংলাদেশীরা কয়েক বছরেই অর্জন করতে পারছে দেখে তাদের মনে জাতিগত দিক থেকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি কাজ করছে। ভালো কিছুকে দেখলে সাদা মনের মানুষেরও মাঝে মাঝে হিংসা হয়। তবে সেটাকে ইতিবাচক ভাবে নিয়ে কাজে তার চেয়ে ভালো কিছু করার মানুষিক প্রস্তুতি নিতে হয়, গালি দিয়ে কিংবা অপমান করে নয়। কুকুর যেমন পা কামড়ালে তার পায়ে কামড় দিতে হয় না। তাই সভ্য জাতি হিসাবে আমরা ভারতবাসীর গালির পরিবর্তে তাদেরকেও গালি দিতে পারি না! তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে মিনতি করি ভারততে যেন একটু সুমতি দেয়!! না হলে গরীবের ঘরে সুন্দরী বউ থাকার মতো যন্ত্রনা আমাদের সারা জীবন পোহাতে হবে।

Visits: 0

মন্তব্য
Loading...
//stungoateeve.net/4/4139233