মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ!

0 ৬৮

একই ডিপার্টমেন্টে পড়তাম, তাই সে মেয়েটার সাথে বেশ সখ্যতা ছিলো, তাছাড়া ধ্যান- ধারণা কিছুটা মিল থাকায় বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলা হতো। তো, সম্প্রতি তার একটা অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে আমাকে অনুরোধ করে। একটা ভিডিও প্রেজেনটেশন লাগবে। প্রথমে আগ্রহী ছিলাম না। পরে ভাবলাম- “কাজটা করার ক্ষমতা থাকলে, না করছি কেনো? একটু করে দিই” পরে নিজের ডায়ালগ রেডি করলাম। অবশেষে নিজের সর্বত্মক চেষ্টায় তাকে সাহায্য করি। পরবর্তীতে জানলাম- আমার প্রেজেনটেশন নাকি অনেক ভালো হয়েছে। মনে মনে অনেক খুশিই হই।

 

এরই মধ্যে এলাকার এক প্রতিযোগীতায় তাকে আমাদের টিমে আহ্বান জানাই, কারণ তাকে অনেক বেশি যোগ্য মনে হচ্ছিলো আর তাকে আমার সাথে রাখলে হয়তো প্রতিপক্ষ জোট দূর্বল হতো। তো-তাকে এ ব্যাপারে বলা মাত্রই অজুহাত দাঁড় করালো এবং নিরুৎসাহিত করলো। “এসব আমাদের করে কোনো লাভ হবে না, এসব শীর্ষস্থানীয়দের বলা উচিত। পরিচিত বক্তাদের বলা উচিত”- এমন টাইপের কথা বার্তা। উল্লেখ্য এর আগেও তাকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ডেকেও পাওয়া যায় নি। কারণ একটাই- নিরুৎসাহিত করণ ও রীতিমত তার ফাতওয়া (!)। আসলে সমাজে এমন অনেক লোক পাওয়া যায়- যারা কাজে নামার আগেই বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দাঁড় করায়, মনগড়া ফতওয়া দেয়, অবশেষে না নিজেরা করে না অন্যদের করতে দেয়। যাই হোক- সেও অনেকটা এমন। যদিও কাজ করলেই অভিজ্ঞতা বাড়ে, কাজের আগে বলা যায় না- আমি সফল হবো কি বিফল!

যাই হোক, তার এরূপ আচরণে অনেক কষ্ট পাই। তাকে জীবনে অনেক হেল্প করেছি। যা যখন করেছি, তখন কোনো স্বার্থ নিয়ে করিনি। তবে আজ দেখলাম- সে বড়ই অকৃতজ্ঞ। যাইহোক, ভালো উদ্দেশ্যে ভালো কোনো কাজে নামলে আল্লাহ’ই সাহায্যকারী। আর আলহামদুলিল্লা, তাকে না নিয়েও আমাদের টিম ভালোই গড়েছে।

জীবনটা অনেক অভিজ্ঞতাময়। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে প্রতিনিয়ত শিখতে থাকি। তা, জীবন থেকেই দেখলাম- মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ! আজ তাকে চিনতাম। সঙ্কল্প একটাই মানুষ চিনতে যাতে আর ভুল না করি। তাছাড়া একটা হাদিসে হয়ত এমনটি পড়েছিলাম- ‘মু’মিনরা বার বার একই ভুল করে না’। আর আমি তো মু’মিনই হতে চাই…

Visits: 12

মন্তব্য
Loading...
//oulsools.com/4/4139233