কিছু জিনিসের প্রচার করতে নেই!

0 ১০০

প্রচারেই প্রসার। তাই কিছু জিনিসের প্রচারই করতে নেই যাতে প্রসার না হতে পারে, বিশেষ করে প্রশ্ন যখন থাকে মানুষের সম্মানের।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্ণগ্রাফীর জন্য নির্ধারিত শাস্তির বিধান প্রচারের জন্য বেশ কয়েকমাস ধরেই টিভিতে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার হয়ে আসছে। যাতে দেখানো হয়েছে একটি মেয়ে পুকুরে গোসল করতে নেমেছে আর পাশেই এক ছেলে লুকিয়ে লুকিয়ে তার ছবি তুলছে। পরবর্তীতে সেই ছেলেটি ছবিগুলো তার বন্ধুদের দেখিয়ে এক পৈশাচিক উল্লাস করছেই কি … এমন সময় হাতকড়া এসে ছেলের সামনে হাজির। বিজ্ঞাপন দিয়ে বুঝানো হলো- পর্ণ ছবি তুললেন তো জেল খাটা + জরিমানা গুনতে হবে। কিন্তু আসলেই কি বাস্তবে তা হচ্ছে?
বরঞ্চ অলিগলিতে কিছু উঠতি বয়সী ছেলেদের মোবাইল নিয়ে বন্ধুদের সাথে সন্দেহভাজন অবস্থায় দেখা যায়। তাছাড়া অনলাইনে শুধু ১৮+ লিখে সার্চ দিন শত শত পর্ণ সাইট, চটি লিঙ্ক। শুধু তাই নয়- রয়েছে কলেজভিত্তিক তথা নির্দিষ্ট কলেজের নামে পর্ণ সাইট।
সুতরাং- এসব পেইজ যেখানে বহাল তবিয়তে নিজের নোংরা ব্যবসা করে যাচ্ছে, নারীদের গোপনীয়তা নিয়ে এক বিকৃত আনন্দ উপভোগ করছে- সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে কি কোনো পদক্ষেপ? তাই, এসব বিজ্ঞাপন শুধু কি নিছক প্রচার নয়?

হ্যা, অনেকে হয়ত বলতে পারেন- এরূপ বিজ্ঞাপনে অন্তত শাস্তির বিধান ও প্রশাসনের সচেতনতা ফুটে উঠেছে। কিন্তু আমি মনে করি- জনগণের শুধু বিধান জেনে লাভ নেই, তারা তো বিধানের সঠিক প্রয়োগ চায়। আর এরূপ বিজ্ঞাপনে অপরাধ হয়ত দমন হবে না, বরং অপরাধ আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি হলো। কারণ- এতে এক নারীকে ভেজা শাড়িতে দেখিয়ে নারীর সম্মানহানী করা হলো।

সবশেষে- এদেশে যে বিচার নেই সেটা বুঝ হওয়ার পর থেকেই দেখছি। সুতরাং, মানুষ সচেতন হবে তখনই যখন পর্নগ্রাফী ও এ সংক্রান্ত পেইজের সাথে যারা জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তি বাস্তবায়ন করে সেটা প্রচার করা হবে।

Visits: 1

মন্তব্য
Loading...
//vasteeds.net/4/4139233