ভবনে গ্যাস লাইন সংযোগে কিছু নোট

0 ৬৮

কোন ভবনে গ্যাস লাইন স্থপনা বা ইন্সটলেশন করা কোন নিজে নিজে করে দেয়া সাধারণ কাজ নয়। সামান্য ত্রুটি যে কতোটা বড়ো মাপের দুর্যোগ আনতে পারে তা অনুধাবন করতেই অন্তরটা কেঁপে ওঠে। প্রাকৃতিক গ্যাস হলো প্রকুতিতে সব থেকে সহজ এবং দ্বাহ্য পদার্থ । এটার চাহিদা বেশির কারন তো বলার অবকাশই রাখে না। যার কারনে অফিস বা কোন দালানে কাষ্ঠ ধূঁয়া থেকে রেহায় পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়াও অল্প খরচে এটার ব্যবহার করা যাচ্ছে যা প্রতিদিনের কাষ্ঠ কেনার থেকে অনেক কম। তাই আধুনিক বসবাসের জন্য প্রাকুতিক গ্যাসের বিকল্প আজ পর্যন্ত হয়নি। তাই এটাকে যেনো বন্ধু সুলভ ব্যবহার করা যায় সেটাই প্রকৌশলীদের এবমাত্র চেতনার বিষয়। আর এর যেনো অযথা অপচয় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা সব থেকে আগে প্রয়োজন। আমেরিকার একটি জার্নাল থেকে এসেছে প্রায় শতকরা ৯৮.৫ ভাগ সেখানে ব্যবহার করা হয় এবং সঠিক ভাবে তা ব্যবহার করা হলে আগামী শতবর্ষেও এর সুফল পাওয়া যাবে।

আরো ব্যপকতা বিশ্লেষণে কিছুটা কার্বন উৎপাত এবং প্রাকুতিক দুর্যোগ যেমন এসিডরেইনের কারন হয়ে থাকে যদি এর ব্যপক বিপর্যয়গত কারন হয়। আমেরিকার এক গবেষণাতে উঠে এসেছে বাসা বাড়ীতে এর ব্যবহার কারনে প্রায় শতকরা ৪৩ ভাগ র্কাবন হতে পারে ইলেট্রিক মাধ্যম থেকে। বলা যায় দ্বাহ্য কাজে ইলেক্ট্রিক মাধ্যম প্রাকুতিক গ্যাস থেকে বেশী পরিষ্কার । কিন্তু অর্থনৈতিক বিচারে এর চাহিদা বেশী।
এবার আসা যাক সঠিক নিয়মে আমাদের দেশে মৃত্যুর সংখ্যাট কেমন। বলা যেতে পারে নারায়ণগঞ্জের সদর ফতুল্লায় মা ও মেয়ের মৃত্যুর কথা। সেদিন তিন জনের মৃত্যু হয়েছিলো যার কারন ছিলো গ্যাস বিস্ফোরন। আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে রংপুরে পাগলাপেীরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে। খবরের কাগজে যানা যায় সেদিন একজন স্কুলের ছাত্রী মারা যায়। এটা ঘটেছিলো ২০১৩ সলের ২১ শে ডিসেম্বরে। তবে মোট মৃতের সংখ্যা কতো আর কবে সেদিকে না গিয়ে বরং সামনে যেনো আর একারনে মৃত্যু না হয় সেদিকে যাওয়া যাক।

প্রথমত, বিশেষজ্ঞ কোন প্রকৌশলীর কাজ থেকে সে দালানের গ্যাসের চাহিদা হসাবে সরঞ্জামের একটা তালিকা করতে হবে। তার পরে তার ভিত্তিতে সঠিক মাপের পাইপ নিতে হবে। উন্নত দেশ গুলোতে বাসভবনে ১.২৭ সেন্টিমটার পাইপ ব্যবহার করে থাকে। যখন বৃহৎ বাণিজ্যিক চাহিদা মেটাতে হয় তখন ১৫.২৪ থেকে ৩০.৪৮ সেন্টিমিটার পযর্ন্ত লেপিং করে থাকে।
গ্যাস লাইন স্থাপনের সময় বা সমগ্র নকশা করার পূর্বে যে সব ব্যপার অবশ্যই বিবেচনায় আসবে তা হলো :
 সরঞ্জাম সহ লাইন স্থাপনা বা ইন্সটলেশন বিল্ডিং বা ঐ ভবনের ভেতরে নিরাপত্তা কোড মেনে করা
 তরল অবস্থায় গ্যাস সংগ্রহ করার সময় বিশেষ পাত্রের ব্যবহার
 যা নকশা করা হয়েছে সেটা পরবর্তীতে মডিফাই করার সুযোগ
 অতিরিক্ত যন্ত্রপাতি প্রয়োজনে বতর্মানের লাইনটি দেখে বর্ধিত করন ব্যপারে সুনিপুন আলোচনা
যদি পরে কোন লাইন বিশেষ করে দেখার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা রং দিয়ে রাখা ভালো গ্যাস লাইন গুলো এমন ধরনের হতে হবে যেনো চাহিদা যেমন তা প্রবাহ করতে পারে। প্রবাহ চাপ যেনো ধরন করতে পারে এবং জয়েন্ট গুলো বিশেষ ভাবে আটকানো। পাইপের আকৃতি হবে প্রদানের মাপ থেকে প্রাপকের মাপ মধ্যবর্তী দূরত্ব এবং চাপ নিয়ে হিসেব করে। তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস অপারেট করতে বা এল-পি গ্যাস সিস্টেম প্রেসার ১৪০কলো.প্যাসকেল গেজের বেশী হবে না। মাইনাস ২১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এর মাত্রায় অপারেট সিস্টেম হলে হয়তো সেটা সহজ তরল এল-পি গ্যাস অথবা বাষ্পীয় থেকে তরলের হিসেবে থাকতে হবে।
কিছু বিশেষ টেকনিক্যাল ব্যপারে আশা যাক। যদি কোন বাণিজ্যিক প্রাঙ্গনে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাস প্রবাহ প্রয়োজন হয় তবে এল.পি.জি. সিলিন্ডার স্থাপনা করা যাবে না যদি না কেন্দ্রিক টাউন গ্যাস প্রবাহ না থাকে। উদাহরণে বলা যায়, যদি প্রয়োজন বেশি দেখা দেয় নির্দিষ্ট স্থানে তাহলে নতূণ কোন সংযোগ লাইনের জন্য প্রথম উৎস্ব-টাকেই বেশী প্রাধান্য দিতে হবে ঐ এল.পি.জি. সিলিন্ডার থেকে। একটি প্রাঙ্গনের আওতায় গ্যাস প্রবাহের জন্য স্থাপিত এল.পি.জি. সিলিন্ডার টি একদিনে একারের বেশী বদলানো যাবে না যদি না বিশেষ ভাবে সেটি পরিচালনার নীতি মেনে চলা হয়। প্রতিটা রেস্টুরেন্টে বা রান্নাঘরে লাইন সংযোযনের জেন্য রেজির্স্টাড সংস্থা থেকে আনতে হবে। সে জন্য প্রতিটা এলাকাতে আলাদা আলাদা ভাবে দাপ্তরিক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
প্রকৌলীদের দায়িত্ব হলো অল্প খরচে সর্বাধিক সহজ ভাবে জীবন ধারন নিশ্চিত করন। আর তাই কোন নির্মাণের জন্য ভালো প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে ফাউন্ডেশন, পানি, ম্যাকানিক্যাল এবং জ্বালানি ব্যাপার গুলো খুবই সাবধানতার বিষয়।
(এ আর্টিকেলটি সম্পন্ন করতে আমি ২০১৩ ইন্টারন্যাশনাল ফুয়েল কোড, ফ্লেজিবল গ্যাস পাইপিং ডিজাইন গাইড , জনিুয়ারী ২০১৪, এবং আমাদের দেশের কিছু সংবাদ মধ্যমের প্রয়োজন হয়েছে।)

Visits: 0

মন্তব্য
Loading...
//acoudsoarom.com/4/4139233