বায়ান্নতে নতুন? জবাব হ্যাঁ হয়ে থাকলে পোস্টটি আপনার জন্য (ব্লগ টিউটোরিয়াল)
আস্সালামুআলাইকুম। বায়ান্নতে আপনি কি নতুন মেম্বার? বুঝে উঠতে পারছেন না যে, কিভাবে অ্যাকাউন্ট খুলবেন বা পোস্ট করবেন কিংবা এডিট করবেন? জবাব হ্যাঁ হয়ে থাকলে পোস্টটি আপনার জন্য। শুরুতেই জেনে নিন বায়ান্ন কি? বায়ান্ন হল একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে আপনি আপনার মনের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে পারেন যেগুলো প্রকাশ করার জন্য আপনার বিবেক আপনাকে নাড়া দেয়।
বায়ান্নতে অ্যাকাউন্ট খোলাঃ
তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি কিভাবে বায়ান্নতে অ্যাকাউন্ট খুলবেন। বায়ান্নতে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন। তাহলে নিচের মত একটি পেইজ দেখতে পাবেন,
প্রথমেই আপনাকে ইউজার নেম দিতে হবে। ইউজার নেম নিয়ে একটু বিস্তারিত জেনে নিন তা হলঃ ইউজার নেম ইংলিশ লেটারে ও ব্লগে ইউনিক হতে হবে অর্থ্যাৎ ইউজার নেম হিসেবে এমন নাম সিলেক্ট করতে হবে যা ইতোপূর্বে এই ব্লগে সেই নামে কোন অ্যাকাউন্ট খোলা হয় নি। এছাড়া ইউজার নেম এর মাঝে কোন স্পেস ব্যাবহার করা যাবে না। মনে রাখবেন বায়ান্নতে যখন লগিন করবেন তখন ইউজার নেম দরকার হবে। মনে করুন আমি ইউজার নেম হিসেবে kawser দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুললাম। এখন এ নামে আর কেউ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। এখন সিদ্ধান্ত নিন ইউজার নেম হিসেবে কি সিলেক্ট করবেন।
এর পর আপনি আপনার ইমেইল ঠিকানাটি দিয়ে দিন। তার পরের বক্সে আপনাকে ক্যাপচা এন্ট্রি করতে হবে। বায়ান্নতে ক্যাপচা হিসেবে ছোট বড় মিশ্রিত ইংরেজি ক্যারেক্টারের সাথে নিউমেরিক সংখা ব্যাবহার করা হয়েছে। আপনি জাস্ট সেটা দেখে বক্সের ভেতর টাইপ করুন। ব্যাস আপনার কাজ আপাতত অনেকটাই শেষ। এখন আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে জাস্ট “নিবন্ধন করুন” বাটনে ক্লিক করুন। প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে ক্রিনে দেখতে পাবেন, “নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। আপনার ই-মেইল চেক করুন।” এর মানে আপনার ইমেইলে সয়ংক্রিয়ভাবে একটি কনফার্মেশন মেইলের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডসহ ডিটেলস্ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এবার মেইল চেক করুন। (আমি আমার জিমেইল চেক করছি) তাহলে নিচের মত একটি মেইল পাবেন,
সেখানে ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি বায়ান্নতে লগিন করার লিংকও দেখা যাচ্ছে। সো, বায়ান্নতে লগিন করার জন্য সেখানে ক্লিক করুন। এবার ইউজার নেম আর মেইল হতে প্রাপ্ত পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করুন। বিষয়টা না বুঝলে নিচের চিত্রে নজর দিন,
এবার প্রবেশে ক্লিক করুন। তাহলে নিচের চিত্রের মত ড্যাসবোর্ড আসবে,
এরপর সেই পেইজের উপরে একটি নোটিশ দেখতে পাবেন যেখানে লেখা রয়েছে, “হ্যাঁ, আমাকে আমার প্রোফাইল পাতায় নিয়ে চলুন।” সেখানে ক্লিক করুন। তাহলে নিচের মত পেইজ আসবে,
এখন সেখান থেকে আপনার ডিফল্ট পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করে নিন। এছাড়া সেখান থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মত ব্লগ অ্যাকাউন্টটির যাবতীয় সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন। তাহলে এখন সেখানে fb, google+, twitter, অ্যাকাউন্ট পিকচার পরিবর্তন ইত্যাদি করে নিন। সবশেষে “হালনাগাদে” ক্লিক করে সেভ করুন। ব্যাপারটি যে কেউ দেখলেই বুঝবে তাই আমি আর বাড়তি করে বলে পোস্টটি বড় করতে চাচ্ছি না। এরপরও যদি কোন কিছু বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই পোস্টের শেষে মন্তব্য করবেন।
বায়ান্নতে নতুন পোস্ট লিখাঃ
নতুন কোন পোস্ট পাবলিশ করতে চাইলে প্রথমেই এখানে ক্লিক করুন। তাহলে নিচের মত চিত্র আসবে,
কোথায় পোস্টের শিরোনাম লিখবেন, কোথায় পোস্টের বিস্তারিত লিখবেন এবং কোথায় ক্লিক করে পোস্ট পাবলিশ করবেন তা মার্ক করে দেখানো হয়েছে উপরের চিত্রে। আশা করি বিষয়টি আর বিস্তারিত বলার দরকার নেই। তারপরেও কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে অবশ্যই পোস্টের শেষে মন্তব্য করতে ভুলবেন না।
কিভাবে পোস্টের ভেতরে ছবি আপলোড, লিংক যুক্ত ও ইউটিউবের ভিডিও যোগ করবেন তা উপরের দেখানো হয়েছে। যারা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের কাজ জানেন তাদের জন্য ব্লগপোস্ট লিখা তো কোন ব্যাপারই না। একবার দেখলেই বুঝবেন। তাই আমি আর বিস্তারিত বলে কথা বাড়াচ্ছি না। এরপরও যদি কোন কিছু বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই পোস্টের শেষে মন্তব্য করবেন।
কিভাবে আপনার পোস্টের লিংক এডিট করবেন, পোস্টটি ড্রাফট্ হিসেবে সেভ করে রাখবেন, পোস্টটি প্রকাশের পূর্বেই তার পূর্বরুপ দেখা ও কোন ক্যাটাগরিতে আপনার পোস্টটি রাখবেন তা উপরের চিত্রে যথাক্রমে মার্ক করে করে দেখানো হয়েছে। আশা করি আপনাদের বুঝতে কোন সমস্যা হবে না।
পোস্ট পাবলিশ করার পূর্বে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেনঃ
পোস্ট পাবলিশ করার পূর্বেই সিলেক্ট করে নিন কোন ক্যাটাগরিতে পোস্ট করতে চাচ্ছেন। ট্যাগ অংশে আপনি যে বিষয়ে পোস্ট লিখছেন সে বিষয়ের কিছু ফোকাসিং ওয়ার্ড লিখুন। একাধিক ট্যাগ লিখতে প্রত্যেকটির পর কমা দিয়ে লিখুন যেমন, আমি ইতোপূর্বে অনলাইন থেকে কিভাবে NID কার্ডের সফট কপি সংগ্রহ করা যায় তার উপরে একটি পোস্ট লিখেছি সেখানে ট্যাগ হিসেবে লিখেছি, “NID Card Online, nid soft copy online, জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন“। আশা করি ট্যাগের বিষয়টি বোঝাতে পেরেছি। হয়ত ভাবছেন এই ট্যাগের কাজ কি? তাহলে সংক্ষেপে জেনে রাখুন পোস্ট খুঁজে বের করতে ট্যাগ ব্যাবহার করা হয়। যেমন গুগলে “জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন” লিখে সার্চ দিলে এ সংক্রান্ত পোস্ট সার্চ রেজাল্টে আসবে। ট্যাগের নিচেই আরো একটি অপশন দেখতে পাচ্ছেন তা হল, নির্বাচিত ছবি যুক্ত করার অপশন। আপাতত বায়ান্নতে ফিচার ইমেজ ইউজ করার অপশন খোলা নেই। তাই এই অপশনটি আপনাকে ব্যাবহার না করলেও চলবে। তবে যেহেতু এই ব্লগের পোস্ট বিভিন্ন সোস্যাল সাইট যেমন ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাসে শেয়ার করা হয় তাই ফিচার ইমেজের বিষয়টি অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সো, পোস্টের সাথে সামাঞ্জস্যতা বজায় রেখে একটি ফিচার ইমেজ যুক্ত করতে মোটেও ভুলবেন না যেন। জেনে রাখা ভাল যে, ফিচার ইমেজ যুক্ত না করা পোস্ট বিভিন্ন সোস্যাল সাইটে শেয়ার করলে প্রিভিউ ইমেজ হিসেবে ঐ পোস্টের ১ম ইমেজ শো করে। আর পোস্টে কোন ইমেজ না থাকলে ব্লগে সেট করা ডিফল্ট ইমেজ শো করে।
আপনি এখন পর্যন্ত কতগুলো পোস্ট পাবলিশ করেছেন তা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
উপরের চিত্রে দেখানো হয়েছে কোন পোস্ট করার পরেও কিভাবে তা পুনরায় এডিট করবেন বা ডিলিট করবেন।
বায়ান্নতে ব্লগের বিল্ট ইন মন্তব্যের বক্সের নিচেই পাবেন ফেসবুক আইডি থেকেও কমেন্ট করার অপশন। এবং বিল্ট ইন কমেন্ট বক্সেও ফেসবুকের মত ইমো ব্যবহার করতে পারেন। 🙂
(বায়ান্ন সম্পর্কিত যেকোন সমস্যা কিংবা মতামতের জন্য বেছে নিতে পারেন কমেন্ট বক্সকে। পাবলিক কমেন্ট বক্সে কোন কিছু লিখতে যদি ইতঃস্ততবোধ করে থাকেন তাহলে চলে আসতে পারেন ব্যক্তিগত ইনবক্সে) 😛
Visits: 1