‘বিয়ে করলে জীবন শেষ’!

0 ৭৯

সমাজে positive thinker দের সংখ্যা কম কিনা জানি না। কিংবা পরিস্থিতি positively কিভাবে handle করতে হয় তাও হয়ত আমাদের অজানা, যে কারণে নিজেদের এই অজ্ঞতা ও অক্ষমতাকে পুঁজি করে আমরা অনেক সময় অন্যকে ভয় দেখাই বা হতাশ করে দিই। যেমন-অনেকেই বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়েদের ভয় দেখিয়ে বলেন- “বিয়ের পর আর পড়াশুনা হবে না, বউ পালা হাতি পালার সমান, নিজের মত চলবে না, জীবন শেষ!”- ইত্যাদি negative চিন্তা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের ভড়কে দেয়া হয়। ফলে, বিয়ে করার প্রয়োজন থাকলেও নিজের জীবনের কথা চিন্তা করে অনেকেই বিষন্নতায় ভুগে। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন…

 

অনেক পরিবারেই দেখেছি, বিয়ের পরবর্তীতেও স্ত্রীরা পড়াশুনা ও স্বেচ্ছায় লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই সাথে পাচ্ছেন স্বামীর সহায়তা। হ্যাঁ, এবার অনেকে হয়ত বলতে পারেন- “সবার জীবনসঙ্গী কি আর এক রকম হয়”! সেক্ষেত্রে বলবো- আমরা মূলত ভালো সঙ্গী পাওয়ার চেষ্টা করি না, আমাদের বিয়ে পূর্ববর্তী শর্তে গলদ রয়েছে, এবং শর্ত ঠিক করে আমরা আমাদের মা-বাবাদের সাথে বিয়ে নিয়ে নিঃসঙ্কোচে উত্তম পন্থায় কথাও বলি না, তাদেরকে বুঝাই না এবং নিজের বিয়ে নিয়ে আল্লাহ’র কাছে দুয়াও করি না। তাহলে হবে কিভাবে? দোষ দিয়ে তো লাভ নাই! যেখানে স্বয়ং আল্লাহ সূরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতে জীবনসঙ্গি’র জন্য দুয়া শিখিয়ে দিয়েছেন- ‘Our Lord, give us joy in our spouses and offspring. Make us good examples to those who are aware of You’. অর্থাৎ,“হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান করো এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ করো”।

 

সুতরাং, নেতীবাচক চিন্তা বাদ দিয়ে সঠিক সময়ে বিয়ে করে সুন্দর ও পবিত্র জীবন যাপন শুরু করা উচিত।

Visits: 4

মন্তব্য
Loading...
//sauptowhy.com/4/4139233